আপত্তিকর অবস্থায় আটক, মুখ খুললেন সেই ছাত্রী

প্রকাশিত: ১৬ আগষ্ট ২০১৮, ০৮:১৮ এএম

তাহমিদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আহসানউল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের আহসানউল্লাহ হল ইউনিটের পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক।

বুধবার (১৫ আগস্ট) সকালে জাবির পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে কয়েক শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগে মারধরের শিকার হন তিনি। তবে তাহমিদ ক্যাম্পাসের এক আত্মীয়র সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন জাবির ওই ছাত্রী। তিনি প্রক্টর বরাবর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে তার আত্মীয়কে মারধরের বিচার দাবিতে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছেন। তার কপি সাংবাদিকদের কাছে এসেছে। কিন্তু প্রক্টর অফিস বন্ধ থাকায় বুধবার তারা অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি।

জাবির নিরাপত্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনের বেঞ্চে তাহমিদ তার বান্ধবীর সঙ্গে বসে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন পরিচয় জানতে চাইলে তাহমিদ ওই কর্মকর্তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং জোর গলায় চিৎকার করেন।

এ সময় তিনি নিজেকে বুয়েট ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। একপর্যায়ে তাহমিদ আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে। পরে দুপুর ১২টার দিকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যান। এ সময় মুচলেকা নিয়ে তাহমিদকে তার বান্ধবীর জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘তাহমিদ সাধারণ শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করেছে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।’

মারধরের শিকার তাহমিদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমি কোনোরূপ অসংলগ্ন কিংবা আপত্তিকর অবস্থায় ছিলাম না। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মকর্তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে মারধর করেছে।

জাবির সেই ছাত্রী বলেন, ‘আমরা বসে কথা বলছিলাম। কোনো রকম অসংলগ্ন বা আপত্তিকর অবস্থায় ছিলাম না। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মকর্তার উসকানিতে আমার আত্মীয়কে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিচার চেয়ে আমি প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছি।’

মারধরের শিকার তাহমিদ আহমেদের আত্মীয় দাবি করা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রী সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: