গরুর কিনতে যাবেন? জেনে নিন কিছু সতর্কবার্তা

প্রকাশিত: ১৬ আগষ্ট ২০১৮, ০৪:২৩ পিএম

ঈদুল আযহা বা ঈদুল আজহা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দু’টো ধর্মীয় উৎসবের একটি। বাংলাদেশে এই উৎসবটি কোরবানি ঈদ নামে পরিচিত। কোরবানি ঈদে হাটে গিয়ে পশু কেনার মজাই আলাদা। কিন্তু এ সময় কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যান্ত জরুরি।

জেনে নিন এমন কিছু সতর্কবার্তা:

১. হাটে যাবার সময় কাউকে সাথে নিন। কোন সমস্যা যেন সে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।

২. হাটে যাবার সময় টাকা-পয়সা ঠিক মতো নিয়েছেন কিনা যাচাই করুন।

৩. মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সচেতন থাকুন। তাড়াহুড়া করে অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে যেন টাকা না যায় খেয়াল করে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করুন।

৪. নগদ টাকা নিলে তা একজনের কাছে নয় বরং সাথে যে বা যারা থাকবে তাদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিন। টাকার ব্যাগ, মোবাইল ব্যাগ সাবধানে রাখুন।

৫. পানি, স্যালাইন সাথে নিন। ছাতা নিতেও ভুলবেন না। কারণ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুতেই এটা আপনাকে সুরক্ষা দিবে।

৬. টাকা-পয়সা লেনদেনে সতর্ক থাকবেন। জাল টাকা, ছেঁড়া টাকা নিচ্ছেন কিনা দেখে নিন ভালো করে।

৭. দালাল চক্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

৮. হাটে যাবার সময় প্লাস্টিকের জুতা পড়ে যান। তাহলে পায়ে গোবর বা ময়লা লাগবে না।

৯. হাটে গিয়ে কোরবানির পশুর থেকে নিরাপদ দুরত্বে থাকুন। আর কোনো পশু যদি ছুটে যায় তবে ভয়ে দৌড়াবেন না। বরং আশেপাশের লোকদের সহায়তা নিন।

১০. হাটে যাবার সময় মোটা বা ভারী কাপড় নয় বরং হালকা পোশাক পড়ে যান। যাতে গরম কম লাগে। নতুন পোশাক নয় বরং যে পোশাকটি নষ্ট হলেও কোনো ক্ষতি নেই এমন কোনো পোশাক নির্বাচন করুন।

১১. আবহাওয়া বুঝে হাটে যান। রোদ থেকে সামান্য রক্ষা পেতে সকাল সকাল হাটে যান।

ইসলামের বিভিন্ন বর্ননা অনুযায়ী, মহান আল্লাহ তাআলা ইসলামের নবী হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি কুরবানি করার নির্দেশ দেন। এই আদেশ অনুযায়ী হযরত ইব্রাহিম (আঃ) তার সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করার জন্য প্রস্তুত হলে স্রষ্টা তাকে তা করতে বাধা দেন এবং পুত্রের পরিবর্তে পশু কুরবানীর নির্দেশ দেন।

এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করে। হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ্জ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিন ধরে ঈদুল আজহা চলে। হিজরি চান্দ্র বছরের গণনা অনুযায়ী ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার মাঝে ২ মাস ১০ দিন ব্যবধান থাকে। দিনের হিসেবে যা সবোর্চ্চ ৭০ দিন হতে পারে।


বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: