১৪ দিনের ব্যবধানে চার নারীর গলাকাটা লাশ!

প্রকাশিত: ১৭ আগষ্ট ২০১৮, ০৭:১৮ পিএম

রাজবাড়ীতে ১৪ দিনের ব্যবধানে চার নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন শিশু। প্রতিটি ঘটনাতেই রাতে ঘরে ঢুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলায় বারবাকপুর, পশ্চিম মূলঘর ও আটদাপুনিয়া গ্রামে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সদর উপজেলার স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এর মধ্যে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে।

সব শেষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের বারবাকপুর গ্রামে। নিহত নারী হাজিরা বেগম (৫২)। তিনি ছেলের বউ ও নাতির সঙ্গে এক খাটে শুয়ে ছিলেন। তাঁকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পাশে শুয়ে থাকা ছেলের বউ স্বপ্নার দুই হাত ও কাঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

এর আগে ৩ আগস্ট একই এলাকায় প্রায় পাঁচশ গজ দূরে মূলঘর ইউনিয়নের পশ্চিম মূলঘর গ্রামে দাদি ও নাতনিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহত দুজন হলেন শাহিদা বেগম (৫০) ও লামিয়া আক্তার (৭)। শাহিদার স্বামীর নাম শাজাহান মিয়া। হত্যার আগে শাহিদা বেগমকে ধর্ষণ করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহিদার ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করে। দাদি ও নাতনিকে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই ৮ আগস্ট বানিবহ ইউনিয়নের আট দাপুনিয়া গ্রামে আদুরী বেগমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আদুরীর স্বামী মিজানুর রহমান পেশায় রড মিস্ত্রি। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ায় কাজ করতেন। আদুরীর বাবার বাড়ি খুলনা জেলার রূপসায়। মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে আদুরী ও মিজানুরের বিয়ে হয়।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: