আন্দোলনে নামার সময় জানাল বিএনপি

প্রকাশিত: ১৮ আগষ্ট ২০১৮, ০৯:৪১ এএম

কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবিতে উপযুক্ত সময়ে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।

দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকেই কঠোর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতিতে রোডম্যাপ তৈরির কাজ চালাচ্ছে দলটি। এবার আন্দোলনকে কোনোভাবেই এক মাসের বেশি দীর্ঘায়িত করতে চান না তারা। সে সময় নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের গুরুত্ব কমে যাবে। তখন সব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে নির্বাচন কমিশন। এতে প্রশাসনেও কিছুটা গরিমসি আসবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সবাইকে ‘দলীয়ভাবে’ ব্যবহার করা সহজ হবে না। ওই সময়টায় মূলত আন্দোলন শুরু হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের সিনিয়র ও দায়িত্বশীল এক নেতা বিডি২৪লাইভকে বলেন, সামনে এমন এক সময় আসবে তখন সময়ই সময় ঠিক করে দেবে, কখন আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের কোনো নির্দিষ্ঠ সময় থাকে না।

তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশে দুটি ছাত্রদের আন্দোলন হয়েছে। ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন কি দিনক্ষণ ঠিক করে হয়েছে? হয়নি। তেমনি আমাদের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন তো চলমান।

সরকারের শেষ সময়ের চূড়ান্ত আন্দোলনে কী ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে সে বিষয়ে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হয়েছে। যথাসময়ে জনগণ এ আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দেবে।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য, দেশের মানুষের অধিকারকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য, আমাদের প্রাণপণ বাজি রেখে লড়াই করতে হবে।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ও আগামী দিনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনার জন্য পাল্লামেন্ট ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠায় এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে। যে করেই হোক আমাদের এই সংগ্রামে জয়ী হতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, ঠিক সময়ে সঠিক কর্মসূচি দেবে বিএনপি, আর সেটি হবে সরকার পতনের আন্দোলন কর্মসূচি।

তিনি বলেন, একটা সময় আসবে সরকার বুঝতে পারবে তাদের এখন আর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সকল শক্তিকে একত্রিত করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করে সরকারকে নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে দিতে বাধ্য করা হবে।

দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘আমরা এরশাদের পতন দেখেছি। তার পতনের তিন দিন আগেও বোঝা যায়নি তিনি ক্ষমতাচ্যুত হবেন। তিনি (এরশাদ) কোনো একটা ব্রিজ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন, সে দিন লক্ষাধিক মানুষ হয়েছিল। সেটা দেখে বোঝা যায়নি তিন দিন পর তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।’

কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে কি না জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘বিএনপি একটি শান্তিপ্রিয় রাজনৈতিক দল। এরা কোনো সহিংসতা পছন্দ করে না। তবে সরকার যদি বিএনপিকে ঠেলতে ঠেলতে একেবারেই শেষ প্রান্তে নিয়ে যায়। কোনো আন্দোলন সংগ্রাম বা কথা বলার অধিকারই না দেয়। তাহলে তো নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও বিএনপিকে কঠোর কর্মসূচি নিতে হবে।’

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: