‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা

প্রকাশিত: ১৯ আগষ্ট ২০১৮, ০৯:০৭ এএম

তাবুর শহর মিনায় হাজিদের সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

সৌদি আরবের পরিসংখ্যান সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, শনিবার (১৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত স্থল, নৌ ও আকাশ পথে সৌদি আরব সহ বিশ্বের ১২২ দেশ থেকে আসা ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৮২৬ জন হজ যাত্রী চলতি বছর হজে অংশ গ্রহণ করছেন। হাজিরা এই দিন বিকেল থেকে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। হাজীদের আরামের জন্য মিনায় তাবুতে ২১ হাজার এয়ারকন্ডিশন, ১০ হাজার স্প্রে ওয়াটার মিস্ট ফ্যান (কুয়াশা পাখা) স্থাপন করা হয়েছে। হাজিদের পরিবহনে ১৩ হাজার ৬৫০ ভেহিকল, প্রযুক্তিগত সহায়তা দানে ৪২ গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

সোমবার (২০ আগস্ট) সূর্যোদয়ের পর তারা মিনা থেকে রওনা হবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে। পরে দুপুর ১২টার পর মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা পাঠ করবেন মদিনা মসজিদে নববীর ইমাম ও খতিব ড. হোসাইন বিন আব্দুল আজিজ আল শাইখ।

ঐই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আরাফাত ময়দানে অবস্থানের পর হাজিরা রওনা দিবেন ১৩ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফার উদ্দেশ্যে। সেখানে খোলা আকাশের নিচে অবস্থানের পাশাপাশি প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য কঙ্কর সংগ্রহ করবেন। তবে হাজিদের কষ্ট লাগবে কর্মী বাহিনী দিয়ে পাথর সংগ্রহ করে হাজিদের সরবরাহ করবে সৌদি সরকার। হজের অংশ হিসেবে হাজিরা মিনা, আরাফাত ময়দান, মুজদালিফা ও মক্কায় পাঁচ দিন অবস্থান করবেন।

হজকে সুন্দর এবং সুষ্ঠু করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সৌদি সরকার। হাজিদের ১৩৬ প্রকার সেবাদান করছেন সৌদি সরকারের ১৯টি সংস্থার ৩ হাজার ১৪১ জন মহিলাসহ ১ লাখ ৯২ হাজার ২৫৪ জন সদস্য। এছাড়াও অগণিত রোবার স্কাউট ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তাদের সহযোগিতা করছেন।

চলতি বছর সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে হজের সংবাদ সংগ্রহের জন্য বিশ্বের ১৫১ মিডিয়া ও ২৭টি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের ৮শত সংবাদ কর্মী সৌদিতে কাজ করছেন। এছাড়াও ৬টি চ্যানেল ১০ ভাষায় অফিসিয়াল ব্রডকাস্টিং করবে হজ বুলেটিন। বাংলাদেশি কোন গণমাধ্যম কিংবা সংবাদ কর্মী ওই তালিকায় আছে কিনা তা জানা যায়নি।

সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ মিশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর শুক্রবার শেষ ফ্লাইটসহ ১ লাখ ২৭ হাজার ২৯৭ জন হজযাত্রী (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। বিমান বাংলাদশে এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন শেষ করেছে ১৫ আগস্ট। সৌদি এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন শেষ করেছে ১৭ আগস্ট।

সরকারি হিসাবে ভিসা হয়নি ৬০৬ জনের আর ভিসা পেলেও এজেন্সির গাফিলতির কারণে টিকেট হয়নি ৬৮ জনের। চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে হজ বঞ্চিত হলেন ৬৭৪ জন।

এদিকে, হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার পূর্বে শনিবার পর্যন্ত বার্ধক্য, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ৫১ জন বাংলাদেশি হজ যাত্রীর মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ৪২ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: