হাসপাতালের টয়লেটে জোর করে স্কুলছাত্রীর নগ্ন ছবি ধারণ!

প্রকাশিত: ১৯ আগষ্ট ২০১৮, ১১:৩৪ এএম

হাসপাতালের টয়লেটে জোর করে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর নগ্ন ছবি ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাতজনের নামে মামলা হয়েছে। শনিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে মামলাটি দায়ের করেন স্কুলছাত্রীর বাবা জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

জানা যায়, নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক আত্মীয়কে দেখতে এসে গতকাল শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে টয়লেটে জোর করে স্কুল শিক্ষার্থীর নগ্ন ছবি ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এ মামলায় আসামি করা হয়েছে- সদর হাসপাতাল এলাকার বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক শহরের ভওয়াখালীর সেকেন্দার আলী আকাশ (২২), হাসপাতালের সুইপার হরেনের ছেলে বাসু (৩০), সদরের রামচন্দ্রপুরের ইয়ামিন সিকদার (২১), হোসেনপুরের আজিজুর রহমান (২২), ভওয়াখালীর সাব্বির হোসেন (২৫), হুসাইন (১৯) ও ভওয়াখালীর দেবদারতলার হোটেল কর্মচারি ইনামুল (১৯)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে এসে শুক্রবার হাসপাতালে অবস্থান করছিল অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী। ওইদিন বিকেলে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশের টয়লেটে যায় ভূক্তভোগী মেয়েটি। এ সময় ইয়ামিন সিকদার, বাসু ও আকাশ টয়লেটের সামনে ঘোরাফেরা করছিল। পরবর্তীতে টয়লেট থেকে বের হওয়ার জন্য মেয়েটি দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত তিনজন তাকে বাধা দেয়। মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে টয়লেটে ভেতরে আটকে দরজা বন্ধ করে দেয়। ভয়ভীতি দিয়ে মোবাইলে নগ্ন ছবি তুলে মেয়েটির কাছে টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার হুমকি দেয় তারা। এ কাজে অন্য আসামিরা সহযোগিতা করে। এক পর্যায়ে টয়লেটের কাছে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা মেয়েটিকে নগ্ন অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।

এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন।

বিডি২৪লাইভ/এসএস 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: