অর্থনৈতিক উত্তরণের পথে গ্রিস

প্রকাশিত: ২০ আগষ্ট ২০১৮, ০৬:৩০ পিএম

 অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের পথে, একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে গ্রিস। ইউরোজোনের তৃতীয় আর্থিক পুনরুদ্ধার (বেলআউট) কর্মসূচী সাফল্যের সাথে শেষ করেছে দেশটি। এর ফলে গ্রিস ২০১০ সালের পর, নিজস্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার পরিচয় দিতে সক্ষম হল।

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আট বছর পর, এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারবে গ্রিস। ইউরোপিয়ান স্ট্যাবিলিটি মেকানিজম (ইএসএম) গত তিন বছরে গ্রিসকে ৬ হাজার ১০৯ কোটি ইউরো সরবরাহ করেছে। আর এই সহায়তা গ্রিক সরকার দেশটির অস্থির অর্থনীতি ও ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠনে ব্যয় করেছে। 

ইএসএম চেয়ারম্যান মারিও সেনতেনো বলেন, ‘গ্রিস এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে।’ তিনি সহযোগিতার জন্য গ্রিসের জনগণকে ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, ২০১০ সালের পর এই প্রথম গ্রিসের জন্য আর কোনো পুনরুদ্ধার তহবিলের প্রয়োজন নেই।

ইউরোজোনের অর্থনৈতিক শক্তির একটি উৎস হল‘ইউরোপিয়ান স্ট্যাবিলিটি মেকানিজম’। ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী দেশগুলোর আর্থিক সংকট মোকাবিলার জন্য ইউরোজোন এই তহবিল গঠন করে। গ্রিসের জন্য আরও ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রস্তুত রেখেছে এই সংস্থা। তবে ওই সহায়তার প্রয়োজন নেই গ্রিসের।

গ্রিসের সংকটের শুরু ২০১০ সালে। এর দরুন, ২০১১ সালে এপ্রিলে ইইউ ও আইএমএফের কাছে সাহায্যের আবেদন করে এথেন্স। ওই বছরের মে মাসে, ইউরোজোনের প্রথম দেশ হিসেবে গ্রিস ইইউ ও আইএমএফের কাছ থেকে বেলআউট প্যাকেজ গ্রহণ করে। তারা এথেন্সকে ১১ হাজার কোটি ইউরো দেয়। বিনিময়ে এথেন্স বেতন কর্তন ও কর বৃদ্ধির মতো যেসব পদক্ষেপ নেয়, তার চড়া মূল্য দিতে হয় জনগণকে। তবে বর্তমানে ইউরোজোনের তৃতীয় আর্থিক পুনরুদ্ধার (বেলআউট) কর্মসূচী সাফল্যের সাথে শেষ করায়, গ্রিসের জন্য অভ্যন্তরীন অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। সূত্র: বিবিসি

বিডি২৪লাইভ/এএআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: