কোরবানির আগে ও পরে যা করণীয়

প্রকাশিত: ২০ আগষ্ট ২০১৮, ০৬:৫৩ পিএম

ঈদ নিয়ে আমাদের আগ্রহ এবং প্রস্তুতির যেন শেষ নেই। এই ঈদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমরা জানি পশু কোরবানি। আমরা সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করি। কোরবানির পশু জবাইয়ের আগে ও পরে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আসুন জেনে নেই পশু কোরবানির আগে ও পরে কী করবেন?

কোরবানির পশু ক্রয়ের পূর্বে

১) হালাল উপার্জন দিয়ে কোরবানির পশু ক্রয় করুন।

২) আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের স্পৃহা এবং ওয়াজিব আদায়ের প্রেরণা মনে জাগ্রত করুন।

৩) কোরবানিকে সুখ্যাতি ও প্রদর্শনেচ্ছার চিন্তা মন থেকে দূর করুন।

৪) ভাগে কোরবানি দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে পশু ক্রয়ের পূর্বেই ভাগিদার নির্বাচিত করুন। এটা মোস্তাহাব আমল।

৫) যার ব্যাপারে নিশ্চিত জানা আছে যে, তার উপার্জন হারাম- তাকে কোর‍বানির শরিক করবেন না।

৬) কোরবানি দেওয়ার ইচ্ছা করলে, জিলহজ মাসের চাঁদ উঠারা পূর্বেই নখ, চুল এবং অবাঞ্চিত পশম কেটে ফেলুন। এটাও মোস্তাহাব আমল।

কোরবানির আগে

১) ক্ষত চিহ্ন বা দাগ

২) পশু কেনার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, আগে থেকেই গরুর চামড়ায় কোনো গভীর ক্ষত চিহ্ন বা দাগ যেন না থাকে৷

পশুর চামড়া ছাড়ানো

ঈদের দিন সকাল থেকেই পশুকে খাবার (খড়, ভুসি, কাঁচা ঘাস প্রভৃতি) দেয়া থেকে বিরত থাকুন। তবে পানি বা তরল খাবার খাওয়াতে পারেন। এতে কোরবানির পর পশুর চামড়া ছাড়ানো অনেক সহজ হবে।

দক্ষ লোক

পশু কোরবানির জন্য দক্ষ লোক নিয়োগ করুন। নইলে কোরবানির পশুর সমস্যা গতে পারে। জবাইকৃত গরু উঠে দৌড় দিতে পারে। তাছাড়া পশুর অতিরিক্ত কষ্ট হতে পারে।

টানাহেঁচড়া

কোরবানির জন্য শোয়ানো অবস্থায় পশুটিকে যেন টানাহেঁচড়া না করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোরবানির পশু জবাই করার কাজে বড় ও চামড়া ছাড়ানোর কাজে ধারালো মাথা ছুরি ব্যবহার করতে হবে।

পশু জবাইয়ের পর

পশুর ধমনী যাতে পুরোপুরি কাটা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পশু জবাইয়ের পর পুরোপুরি ব্লিডিং হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জবাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে মাংস কাটা শুরু করা হলে মাংসের ভেতর রক্ত থেকে যাবে। এ ধরনের মাংস মোটেও স্বাস্থ্য সম্মত নয়, কারণ রক্তে অনেক ধরনের জীবাণু থাকতে পারে।

ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ

সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে চামড়ার ক্ষতি ও গুণগত মান নষ্ট হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে পশুর চামড়াকে রক্ষা করতে বর্তমান বিশ্বে সাধারণত ড্রাই ট্রিটমেন্ট, সল্ট ট্রিটমেন্ট ও ফ্রিজিং করে চামড়া সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়া কোনো এলাকার লোকজন বিচ্ছিন্ন স্থানে কোরবানি না দিয়ে বেশ কয়েকজন মিলে একস্থানে কোরবানি করা ভালো।

জায়গাটি যেন খোলামেলা হয়

কোরবানির জায়গাটি যেন খোলামেলা হয়। আর জায়গাটি রাস্তার কাছাকাছি হলে বর্জ্যের গাড়ি পৌঁছানো সহজ হবে। কোরবানির পর পশুর রক্ত ও তরল বর্জ্য খোলা স্থানে রাখা যাবে না। এগুলো গর্তের ভেতরে পুঁতে মাটিচাপা দিতে হবে। কারণ রক্ত আর নাড়িভুঁড়ি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। আর যদি রক্ত মাটি থেকে সরানো সম্ভব না হয়, তা হলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

চামড়া

যারা চামড়া কিনবেন, তারা কোনো বদ্ধ পরিবেশে চামড়া পরিষ্কার না করে এমন খোলামেলা স্থানে করতে পারেন, যেখানে ময়লা জমে দুর্গন্ধ হবে না। আর চামড়ার বর্জ্য অপসারণের জন্য জমিয়ে রাখতে হবে। সর্বশেষে কোরবানির পশুর বর্জ্য নিজের উদ্যোগে পরিষ্কার করাই ভালো।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: