শেরপুরে শেষ মুহুর্তে গরুর বাজারে ভিড়

প্রকাশিত: ২০ আগষ্ট ২০১৮, ১১:৩০ পিএম

শেরপুরের পশুর হাটগুলোতে শেষ মুহুর্তে উপচে পড়া ভিড়। সোমবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকেই হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে দাম বেশি হওয়ায় বেচাকেনা একটু কম। অনেক ব্যবসায়ী কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় গরু বিক্রি করেননি।

এদিকে শহরের গরুর হাট কুসুমহাটি ও নৌহাটা ঘুরে দেখা গেছে, দেশীয় জাতের পর্যাপ্ত গরু নিয়ে এসেছেন পাইকার, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। উঠেছে মহিষও। দামও বেশ সহনীয় বলে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। তবে কাঙ্খিত লাভ না পেয়ে কিছুটা অসন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে বিক্রেতাদের মধ্যে। তবে স্থানীয় দেশী তথা পাহাড়ী লাল রঙের গরুর চাহিদা একটু বেশি লক্ষ্য করা গেছে। 

কুসুমহাটি গরুর বাজারে নেত্রকোনা এলাকা থেকে ১৭টি গরু নিয়ে এসেছিলেন আলী আকবর শেখ। তিনি বলেন, শনিবার ১১টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। ওইদিন ভালো ক্রেতা পাননি। সোমবার সকাল থেকেই হাটগুলো জমে উঠেছে। এরই মধ্যে ৫টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। লাভও মোটামুটি হয়েছে। 

ময়মনসিংহ থেকে ১৬টি গরু নিয়ে এসেছেন জবেদ মোল্লা। তিনি বলেন, এই ১৬টি গরু তিনি কিনেছেন ১৬ লাখ টাকা দিয়ে। দাম ১৮ লাখ উঠলে তিনি ছেড়ে দেবেন।

শ্রীবরদী গরুহাটির পাইকার আব্বাস আলি জানান, ক্রেতা থাকলেও দরদাম করে সময় কাটাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত দেশী লাল মাঝারী ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি।

শহরের চকপাঠক মহল্লার বাসিন্দা শেখ জলিল বলেন, গরুর হাটের হাবভাব দেখতে এসেছি। ঈদের আগের দিন আরেকটি হাট পাব। তাই সেদিন কিনব। তিনি বলেন, ঈদের এত আগে থেকে গরু কিনলে তা রক্ষাণাবেক্ষণ করা কঠিন।

গরু কিনতে আসা শহরের খরমপুরের বাসিন্দা সেকান্দর মিয়া জানান, গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম বেশ সহনীয়। তবে গরুর আকার ও রং ভেদে দামের তারতম্য হচ্ছে।

আখের মামুদ বাজারের বাসিন্দা আকিব বলেন, হাটে প্রচুর গরু কিন্তু ব্যাপারীরা দাম ছাড়ছেন না। তারা বেশি দাম পাওয়ার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এজন্য ক্রেতারা এক হাট থেকে আরেক হাট ঘুরে দরদাম করছেন।

তবে অনেক ক্রেতা জানিয়েছেন, এবার গরুর দাম গত বছরের চেয়ে একটু বেশি। বেশিরভাগ ক্রেতা ৩৫, ৪০, ৫০, ৬০ হাজার টাকায় গরু কিনতে চান কিন্তু সেই তুলনায় দাম একটু বেশি।

উল্লেখ্য, গত ক'দিন যাবত শেরপুরের পশুর হাটে তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। তবে শেষ মুহুর্তেই জমে উঠেছে হাটগুলো।

বিডি২৪লাইভ/এমআর
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: