যেভাবে স্বাস্থ্যসম্মত মাংস সংরক্ষণ করবেন
ঈদ উপলক্ষে বাড়তি মাংস সংরক্ষণ করে রাখার প্রয়োজন তো হবেই। কিন্তু সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি না জানা থাকলে মাংস নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এবং দীর্ঘদিন মাংস সংরক্ষণ কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত কিংবা পরে এতে পুষ্টি থাকে কি না, সে বিষয়ে আমরা কমই জানি। তাই এখনই জেনে নিন মাংস সংরক্ষণের স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি।
গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়ার মাংসে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে, যা অত্যন্ত উচ্চ মানের। সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করলে যা অনেক দিন পর্যন্ত বজায় থাকে।
১। কোরবানির পশুর সুস্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
২। জবাইয়ের অন্তত ১২ ঘণ্টা আগে পশুকে খাবার দেয়া বন্ধ করতে হবে।
৩। পশু জবাইয়ের আগে কোনোভাবেই তাকে পরিশ্রম করানো যাবে না। এর ফলে মাংসের সঞ্চিত শক্তি হারিয়ে যায়। ফলে দ্রুত মাংস নষ্ট হয়ে যায়।
৪। পশু জবাইয়ের অন্তত তিন-চার ঘণ্টা পর্যন্ত মাংস শক্ত থাকে। সে সময় মাংস ফ্রিজে রাখা যাবে না।
৫। কড়া রোদে মাংস শুকিয়ে মাংসের আর্দ্রতা কমিয়ে এনে তা সংরক্ষণ করা যায়।
৬। মাংসে লবণ, ভিনেগার, মসলা মাখিয়েও ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
৭। মাংস ঘরে আনার ৮-১০ ঘণ্টার পর লবণ দিয়ে ভালভাবে ফুটিয়ে নিলে মাংস ভাল থাকবে। এর ফলে গরমকালে ১২ ঘণ্টা ভাল থাকে। মাংস ফোটানোর পর ঠাণ্ডা করে রাখতে হবে।
৮। কাঁচা অবস্থায় মাংস ফ্রিজে রাখতে চাইলে ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপে বরফজাত করে রাখতে হবে। এতে গরুর মাংস ১২ মাস, খাসির মাংস ছয় মাস, মাথা, কলিজা ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
৯। মাংস সংরক্ষণ করার আগে প্যাকেটে সেদিনের তারিখটা লিখে রাখতে হবে। এতে পরে বোঝা যাবে মাংস পুরোনো হয়ে নষ্ট হয়ে গেল কি না।
১০। যেসব পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে, এসব পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করলে প্রোটিন, লৌহ, ফসফরাস এসব বজায় থাকে।
বিডি২৪লাইভ/এসএস
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: