‘বিএনপির অনেক নেতার দণ্ডিত হওয়ার আশঙ্কা আছে’

প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০১৮, ০৩:১২ পিএম

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খুব শিগগিরই একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হবে। এতে বিএনপির অনেক নেতারই দণ্ডিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

শনিবার (২৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই (একুশে আগস্ট) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি সরাসরি জড়িত। আদালতে নিরপেক্ষভাবে বিচার হচ্ছে। বিচারে যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে, তারা যত বড়ই প্রভাবশালী হোক শাস্তি তাদের পেতেই হবে।’

তিনি বলেন, ‘এরকম একটা নৃশংস হত্যাকাণ্ড, যেখানে আইভি রহমানসহ ২২ জনের প্রাণপ্রদীপ নিভে গেছে। প্রাইম মিনিস্টার (প্রধানমন্ত্রী) তো আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছেন। কারা জড়িত সেটা বিচারালয় সিদ্ধান্ত নেবে। বিচার বিভাগ স্বাধীন। এখানে আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিচার বিভাগ তার স্বাধীন কার্যক্রমের আওতায় স্বাধীন সিদ্ধান্ত দেবে, রায় দেবে। এতে বিএনপির অনেক নেতার দণ্ডিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। সুতরাং তারা যদি দণ্ডিত হয়, সামনে জাতীয় নির্বাচন, তাহলে তো বলাই যায় যে, তাদের অস্তিত্ব কিছুটা সংকটের মুখে পড়বে।’

কোটা ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে বিদেশি ইন্ধন ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ি না। থাকলে সেটা আস্তে আস্তে বের হবে। তবে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইন্ধন ছিল।’

&dquote;&dquote;বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমীর খসরু সাহেব কুমিল্লার নেতাকর্মীদের ঢাকায় ডাকলেন। আন্দোলন হচ্ছে নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের। আন্দোলনটা ক্ষমতা দখলের জন্য ছিল না। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতা দখলের জন্য নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে নিরাপদ রাস্তা খুঁজছিলেন। তারা নিজেদের আন্দোলনে ব্যর্থতার পর শিক্ষার্থীদের উপর ভর করেছিলেন।’

এ সময় টানেলের নির্মাণকাজ সন্তোষজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজের ২৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি, বাকি কাজও দ্রুত সম্পন্ন হবে।’

এর আগে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ মন্ত্রীকে দেখান প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা উপ-প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন) ড. অনুপম সাহা। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেব, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুলসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: