‘আমার বয়স সব সময়ই ১৮’

প্রকাশিত: ২৬ আগষ্ট ২০১৮, ০৬:০৫ পিএম

দুই বাংলার বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এরই মধ্যে অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পূর্ব, ছয়টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার এবং আরও অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন।

জয়ার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ব্যাচেলর (২০০৪)। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি বাংলাদেশে তার প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘দেবী’। অনম বিশ্বাস পরিচালিত এ ছবিটি প্রয়াত জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের দেবী উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। প্রযোজনার পাশাপাশি ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া। এতে হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট জনপ্রিয় চরিত্র মিসির আলী হিসেবে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী।

শনিবার একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন দেবীর এ দুই তারকা। এ সময় কথা হয় দুই তারকার মিল-অমিল, ভালোলাগা-মন্দলাগা অনেক বিষয়েই।

অনুষ্ঠানটির এক পর্যায়ে দুই তারকাকেই তাদের বয়স নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় চঞ্চল তার বয়স অকপটে বললেও জয়া নিজের বয়স নিয়ে রহস্যই রাখেন। একবারে শেষে এসে জয়া বলেন, ‘আমি তো মনে করি আমার বয়স সবসময় আঠারো।’

এ সময় আরো কথা হয় জয়ার দুই বাংলার কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে।

প্রথম ছবির দীর্ঘ ৬ বছর পর নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ডুবসাঁতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন জয়া। ২০১১ সালে তানিম নূর পরিচালিত ফিরে এসো বেহুলা এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত গেরিলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

গেরিলায় বিলকিস বানু চরিত্রে অভিনয় করে জয়া ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সমালোচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ নারী চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন।

২০১৩ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন জয়া। এছাড়া ২০১৪ সালে প্রদত্ত বাচসাস পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

গেরিলা চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর থেকে তিনি নিয়মিত বাংলাদেশ ও ভারতের কলকাতার চলচ্চিত্রে কাজ করা শুরু করেন। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালিতে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০১৩ সালে প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ নারী চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

২০১৬ সালে মুক্তি পায় সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ২। এটি ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনীর সিক্যুয়াল। এতে অভিনয়ের জন্য তিনি চতুর্থবারের মত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন জয়া।

এই বছর আরো অভিনয় করেছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র শবর দাশগুপ্তর ওপর লেখা উপন্যাসের ভিত্তিতে অরিন্দম শীল পরিচালিত ঈগলের চোখ-এ।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পায় জয়ার অভিনীত পুত্র। সাইফুল ইসলাম মান্নু পরিচালিত এই ছবিতে একজন অটিস্টিক শিশুর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন। আগস্ট মাসে বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত নারীবাদী চলচ্চিত্র ক্রিসক্রস মুক্তি পায়। ছবিটিতে তিনি কর্মজীবনে সফল, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে একা এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন।


বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: