জেলে কেমন আছেন সেই ধর্ষক গুরু রাম রহিম

প্রকাশিত: ২৭ আগষ্ট ২০১৮, ১০:০০ এএম

জেলযাত্রার বর্ষপূর্তিতে প্রচার থেকে অনেক দূরে ডেরা সচ্চা সওদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম। জেলে কারাবাসের বর্ষপূর্তিকে কেমন আছে সে। রবিবার (২৬ আগস্ট) এক হিন্দি দৈনিকে ধর্ষক রাম রহিমের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেদন।

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজ সকাল ৫টা থেকে ৫.৩০ মিনিটের মধ্যে ঘুম থেকে ওঠে রাম রহিম। এর পর ঘরের সামনে বারান্দায় কিছুক্ষণ হাঁটে সে। কখনও যোগাসন করতেও দেখা যায় রাম রহিমকে। সকাল সাড়ে ৬টায় অন্যান্য কয়েদিদের সঙ্গে রাম রহিমকেও জেলের বাগানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে সবজি চাষ করছে রাম রহিম। সেখানে ২ ঘণ্টা ধরে ফসলের পরিচর্যা করে সে। এর পর ৮টা নাগাদ তাকে সকালের খাবার দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রাম রহিমকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে শুনানির জন্য তৈরি করা হয়। শুনানি না থাকলে নিজের কুঠুরিতে বসে বই পড়ে রাম রহিম।

জেল সূত্রের খবর, এক বছরে চেহারার জৌলুস অনেকটাই কমে গিয়েছে রাম রহিমের। এক বছর আগে যেদিন রাম রহিম রোহতক জেলে এসেছিল সেদিন তার ওজন ছিল ১০৫ কিলোগ্রাম। ১২ মাসের বন্দিদশার পর তার ওজন কমেছে ১৩ কিলোগ্রাম। এখন রাম রহিমের ওজন ৯২ কেজি। 

চেহারার জৌলুসও ম্লান হয়ে গিয়েছে জেলবন্দি এই ধর্ষকের। তার কুচকুচে কালো দাড়ি দু'দিক থেকে পেকে সাদা হয়ে গিয়েছে। তবে দাড়ি বা চুল কাটেনি সে।

গত বছর ২৫ অগাস্ট ২ মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাবাসের সাজা শোনায় পঞ্চকুলার আদালত। এর পরই হিংসা ছড়ায় উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে। হিংসায় মৃত্যু হয় ৪১ জনের। 

সেই থেকে রাম রহিমের ঠিকানা রোহতক জেল। জেলে প্রায় আধ একর জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে রাম রহিমের ব্যারাক। চারদিক ঘেরা ৮ ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে। তার মধ্যে ১৫ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া একটি ঘরে থাকে রাম রহিম।

২ মহিলাকে ধর্ষণের দায়ে রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায় পঞ্চকুলার বিশেষ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সে। দিন কয়েক আগে রাম রহিমের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত। 

বিডি২৪লাইভ/এসএস 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: