পরকীয়ার বলি গার্মেন্টস কর্মী মাহাবুব

প্রকাশিত: ২৮ আগষ্ট ২০১৮, ১২:৪৫ এএম

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার হোকডাংগা দালালপাড়া গ্রামের হত দরিদ্র জাহিদ আলীর পুত্র গার্মেন্টস কর্মী মাহাবুব হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে ০৯ মাস ধরে পলাতক তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা। গ্রেফতারকৃত আসামী একই এলাকার আকবর আলীর পুত্র বজরুল ইসলাম (৩২)। গত ২৫ আগস্ট ভোর রাতে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার হোকডাংগা দালালপাড়া গ্রামের আসামীর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

এ ব্যাপারে ভিকটিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় চার জনকে আসামী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আজ সোমবার (২৭ আগস্ট)পিবিআই ঢাকা জেলা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী বজরুল এবং মাহাবুব একই এলাকার পাশাপাশি প্রতিবেশী হওয়ায় পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে আশুলিয়া এলাকায় পাশাপাশি বাসা ভাড়া করে বসবাস করত। বজরুলের স্ত্রী সাথে না থাকার কারণে বজরুল মাহাবুবের বাসায় মাসিক চুক্তি ভিত্তিক তিন বেলা খাওয়া দাওয়া করত। এভাবে আসা যাওয়ার কারণে মাহাবুবের স্ত্রীর সাথে বজরুলের সখ্যতা গড়ে উঠে।

মামলার তদন্তকারী অফিসার পিবিআই ঢাকা জেলার এসআই সালেহ ইমরান জানান, মামলার ঘটনার দিন গ্রেফতারকৃত আসামী আশুলিয়া এলাকায় তাহার নিজ ভাড়া বাসায় থাকলেও মাহাবুবকে খোঁজাখোঁজি করাকালীন এবং পরবর্তীতে লাশ পাওয়ার সংবাদ বজরুলকে তার মোবাইল নাম্বারে ফোন করে জানালেও তাকে দেখতে আসা বা খোঁজ-খবর না নিয়ে সে অন্যত্র চলে যায়। এক পর্যায়ে মামলার ঘটনার দুই দিন পর থেকে বজরুল তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বার বন্ধ করে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। 

মামলার তদন্তকারী অফিসার আরো জানান, এই মামলার ঘটনার পর থেকে আসামী বজরুল আত্মগোপন করে আছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে এক এক রকম তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে। এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড হওয়ায় ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করার জন্য আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি। 

পিবিআই ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান বারী নূর জানান, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: