‘সরকারের কাছে তথ্য আছে’

প্রকাশিত: ২৮ আগষ্ট ২০১৮, ০৫:২৮ পিএম

‘যেহেতু সরকার বারবার ষড়যন্ত্রের কথা বলছে, নিশ্চই দেশে বা দেশের বাইরে...পত্রিকায় গাফফার চৌধুরীর একটি লেখা আছে, সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে যে, দেশের বাইরে কি ধরণের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অতএব আমি মনে করি যে, কেউ থেমে নেই। সরকার যদি কোন ষড়যন্ত্রের গন্ধ না পেত তাহলে এভাবে সমস্বরে সরকারের সিনিয়র মন্ত্রীরা কখনও বলতো না যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই আমি মনে করি, সরকারের কাছে তথ্য আছে এবং সরকার সতর্ক আছে।’

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সরাসরি টক-শো অনুষ্ঠানে এসে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে যে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। ষড়যন্ত্র রাজনীতির একটা অংশ। ষড়যন্ত্র অতীতেও হয়েছে, এখনও চলছে পর্দার আড়ালে। সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রতো চলবেই সবসময়। ওয়ান-ইলেভেনের গন্ধ সরকার বলতে পারে কিভাবে আছে। আমাদের জানা নেই।’

‘যারা বিরোধী দলে আছে, এই যে বিএনপি, তারা যদি মনে করে নির্বাচনে আসতে পারবো না, তাহলে তো তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেঁছে নেবে। সেজন্যই ওবায়দুল কাদের সাহেব যথার্থই বলেছেন, একটি ষড়যন্ত্র চলতেছে এবং এটা অব্যাহত আছে। এই ষড়যন্ত্র যদি সরকারের কাছে ধরা পড়ে, তাহলে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার দায়িত্ব নিশ্চই সরকারের’, বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘কেউ ভোটের জন্য, বিএনপি নেতারা এলাকায় করতেছে, কেউ বাইরে এসে ষড়যন্ত্রের কথা বলছে। আর বিএনপির মাঠ কর্মীরা মাঠে বসা আছে, তাদের ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) মুক্তি পাবে কি না? এরমধ্যে বিএনপি কিন্তু সঠিক পথ দেখাতে পারেনি। আন্দোলনের পথ দেখাতে পারেনি, নির্বাচনের পথও দেখাতে পারেনি। নির্বাচন খুব কাছে এসে গেছে, তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে আন্দোলন হল, তা যৌক্তিক আন্দোলন। এ আন্দোলনকে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সমর্থন করেছেন। সমর্থন করার তিনদিন পর ছাত্ররা যখন রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনলো, গাড়ি বৈধ কাগজ ছাড়া রাস্তায় বের হল না, তখন প্রধানমন্ত্রী বললেন, তোমরা দেখিয়েছ পথ, যথেষ্ট হয়েছে, এবার ক্লাসে ফিরে যাও, আমরা এবার দেখতেছি। কিন্তু চটকরে বিএনপি এ আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে দিল। বিএনপি যখন এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে বসলো, তখন সরকার দল এখানে বিএনপির গন্ধ খুজে পেল, এ ছাত্র আন্দোলনটা নষ্ট হল। না হলে এটা হত না।’

তিনি আরও, ‘উনারা (বিএনপি) কিন্তু নিজেদের কোনো আন্দোলন করতে পারে না। নিজেদের ম্যাডাম খালেদা জিয়া জেলে, তারেক সাহেব দেশের বাইরে-এ নেতাদের মুক্তি কিভাবে হবে সেটা নিয়ে উনারা বড় গলায় কথা না বলে ছাত্ররা যখন বের হয় তখনই তারা কথা বলে, সমর্থন দেয়। ছাত্ররাতো বিএনপির ব্যানারে নামে নাই। সরকারেরও পদত্যাগ চায়নি। আমি মনে করি, এ আন্দোলনকে বিএনপি নষ্ট করলো। কে বলল বিএনপিকে সমর্থন দিতে? কোনো ছাত্র কি বলেছে, আমরা সমর্থন চাই?’

বিডি২৪লাইভ/এসএইচআর/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: