পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ভোগান্তিতে জনজীবন

প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৫২ পিএম

ঈদুল আজহার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও শুক্রবার পর্যন্ত নেত্রকোনা বাসস্ট্যান্ডে কর্মস্থল মুখী মানুষের ভিড় কমছেইনা। জেলা শহরের আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ডে ঢাকাগামী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এ সমস্ত মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন সড়কে বাস, সিএনজিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়া অভিযোগ উঠেছে গেইট সার্ভিস নামে বাসযাত্রীদের সাথে চলছে প্রতারণা। চরম ভোগান্তির মধ্যেও বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় দিয়েই যাত্রীদের চলাচল করতে হচ্ছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ঢাকা- নেত্রকোনা সড়কে শাহ্ জালাল এন্টারপ্রাইজ, একরাম পরিবহন, নেত্র-পরিবহন, গ্রীণ লাইন পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি সার্ভিসের বাস চলাচল করে। শাহ্ জালাল এক্সপ্রেস ও একরামের ভাড়া ২৫০ টাকা। এ ছাড়া অন্য লোকাল বাস সার্ভিসে এমনিতে দেড়শ থেকে ২০০ নেয়া হয়। ময়মনসিংহ- নেত্রকোনা সড়কে মহুয়া গেইট লক সার্ভিসে ৫৫ টাকা করে ভাড়া নেয়া হয়। যদিওবা মহুয়া বাস গেইট লক সার্ভিস বলে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে।

প্রকৃতপক্ষে ওই সমস্ত বাস চলে লোকাল হয়ে। গেইট লক বলে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। ঈদের ছুটি শেষে গত রোববার থেকে ঢাকাগামী সকল বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। নেত্রকোনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ২৫০টাকার স্থলে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা এবং নেত্রকোনা থেকে মযমনসিংহ পর্যন্ত ৫৫ টাকার স্থলে ৭০ থেকে ৮০টাকা এবং কোন সময় আরও বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।

যাত্রী সাধারণ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।

শুধু বাসেই না নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহ সিএনজির ভাড়া ৭০ টাকা। সেখানে আদায় করা হচ্ছে ১২০টাকা থেকে ১৫০টাকা।

শুধু নেত্রকোনা- ময়মনসিংহ, ঢাকা- নেত্রকোনা সড়ক পথেই নয়, জেলার অন্যান্য সড়কেও ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়।

এ নিয়ে বাসের চালক, কন্ডাক্টর এবং সিএনজি চালকদের সাথে যাত্রীদের প্রায়ই ঝগড়ার হচ্ছে। কিন্তু করার কিছু নেই, অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রী সাধারণতে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এছাড়া নির্ধারিত যাত্রীর চেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহন করার কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা শহর শাখা যুব ইউনিয়নের সভাপতি ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশ জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম আহমেদ বলেন, বাস ও সিএনজি চালকরা মানুষের কাছ থেকে জোড় করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। আমরা সাধারণ মানুষ খুব কষ্টের মধ্যে আছি। নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ সব দেখার জন্য কেউ নেই।

মানবাধিকার নাট্য পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি সালাহউদ্দিন খান রুবেল বলেন, টিকেট পাওয়াই দায়। লোক ধরে টিকেট কিনতে হয়। তাও আবার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি। সাধারণ যাত্রীদের কথা চিন্তা করে স্থানীয় প্রশাসনের বিষয়টি দেখা দরকার।

নেত্রকোনা বাস পরিবহন মালিক সমিতির সম্পাদক আরিফ খান বলেন, বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: