২৬ বছর বয়সেই ৪১ সন্তানের মা!

প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৫৬ পিএম

প্রত্যেক নারীই মাতৃত্বের স্বাদ পেতে চান। কিন্তু, সব নারীর এই আশা পূরর্ণ হয় না।

এমনই একজন নারী হলেন- ব্রিটিশ নারী ভিক্টোরিয়া এন্ড্রুস। কিছুদিন আগেও জানতেন, তিনি বন্ধ্যা।

ওই নারীকে ডাক্তার বলে দিয়েছিলেন, পলিসিস্টিক ওভারিসিন্ড্রোম নামক রোগের কারণে তিনি কোনোদিনই মা হতে পারবেন না। কিন্তু, মাতৃত্বের স্বাদ কোন নারীই না পেতে চান। তাই তো এই স্বাদ মেটাতে গিয়ে মাত্র ২৬ বছর বয়সেই ৪১ সন্তানের মা হয়ে গেলেন!

তবে এতোগুলো বাচ্চার মধ্যে একটি বাদে বাকি সবগুলো নকল।

কোনোদিন মা হতে পারবেন না ডাক্তারের কাছ থেকে একথা শোনার পর হতাশ হয়ে পড়েন ওই ব্রিটিশ নারী। আর মা হতে না পারার এই হতাশা কাটাতে বাচ্চাদের মতো করে পুতুল খেলা শুরু করলেন ভিক্টোরিয়া এন্ড্রুস নামের ওই নারী। রিবন নামে এক প্রকার পুতুল আছে, যা দেখতে প্রায় আসল বাচ্চার মতো। এন্ড্রুস তার পুরো ঘর এই রিবন পুতুলে সাজিয়ে ফেলেন। এই পুতুল সংগ্রহ করতে করতে এন্ড্রুস প্রায় তার ঘরই ভর্তি করে ফেলেন। এর সংখ্যাটা দাঁড়ায় শতকের কাছাকাছি।

এভাবেই পুতুলগুলোর আদর-যত্ন করে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে বেশ দিন কেটে যাচ্ছিল এন্ড্রুসের। কিন্তু, নকল বাচ্চা লালন-পালন করতে করতে এন্ড্রুস বুঝতেই পারেননি, তিনি সত্যি সত্যি সন্তানের মা হতে চলেছেন।

হঠাৎ একদিন পেটে ব্যথা অনুভব করেন এন্ড্রুস। তিনি ভেবেই নিয়েছিলেন, হয়তো পেটে কোনো অসুখ হয়েছে। তাই সপ্তাহখানেক পরে ডাক্তারের কাছে গিয়ে তার রক্ত পরীক্ষা করেন।

কিন্তু, রিপোর্ট দেখে ডাক্তার এন্ড্রুসকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আপনি ৭ সপ্তাহের গর্ভবতী!’ ডাক্তারের এমন কথা বিশ্বাস না করে তিনি আবারও আলট্রাসনোগ্রাম করান। এবার নিশ্চিত হন তিনি আসলেই মা হতে চলেছেন। তখন মাতৃত্বের স্বাদ পূরণ হবে এটা ভেবে পরম সুখ অনুভব করতে থাকেন।

চলতি বছরের গত মে মাসে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ভিক্টোরিয়া এন্ড্রুস। তিনি সন্তানের নাম রাখেন ‘টোবাইস’। আর টোবাইসের জন্মের পর কিছু পুতুল তিনি বিক্রি করে দেন এন্ড্রুস। বর্তমানে ৪০টি পুতুল টোবাইসের ভাই-বোন।

এন্ড্রুস জানিয়েছেন, আরও ৪টি সন্তান জন্ম দেয়ার ইচ্ছা আচ্ছে। যদিও এখন আমি ৪১ সন্তানের মা।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: