‘আশ্চর্য! রাষ্ট্র চালানোটা কি ছেলে খেলা?’

প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:০৫ পিএম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেছেন, পার্লামেন্টে একটা বিরোধী দলকে পালা হচ্ছে। যার বিরুদ্ধে আমরা, এমনকি হাসিনাও আন্দোলন করেছে। সেই এরশাদের সাথে তার আতাত হয়েছে। ক্ষমতায়ও থাকবো, বিরোধী দলেও থাকবো, আশ্চর্য! রাষ্ট্র চালানোটা কি কোন ছেলে খেলা নাকি? রাষ্ট্র চালানো মানে বাঘের পিঠে থাকা। সাবধানে থাকতে হয়।

সম্প্রতি চ্যানেল আই-এ ‘তৃতীয় মাত্রা’ টকশোতে এসে ব্যারিস্টার মঈনুল এসব কথা বলেন।

মঈনুল হোসেন বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনার সরকার খুব ভালভাবে চালাতে পারতেন। যদি বিচারবিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিত, সংবাদপত্রের ঠিকমত কাজ করতে দিত।’

নানা রাজনৈতিক মেরুকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা রাজনীতি করছে তাদের ভেতরে রাজনৈতিক চিন্তাধারা নাই। ফলে তারা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারে না, কম্প্রোমাইজ করতে পারে না। আগে আওয়ামী লীগের এতো গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস ছিল, সেই ইতিহাস কিভাবে ধ্বংস করে দেয়া হলো। কারা এটা করলো?’

‘এ কে ফজলুল হক সাহেবকে নিয়ে এসে যুক্তফ্রন্ট করলো আওয়ামী লীগ। সব সময় সংগ্রাম করেছে তারা, নির্বাচনে তাদের দল মেজরিটি ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী করা হলো ফজলুল হককে। আজকে এই বিষয়টা কল্পনা করা যায়। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বলবে কোন ছোট পার্টির কাউকে যে, আসুন আপনাকে প্রধানমন্ত্রী করবো। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এটা করবো। আজকে এই চিন্তাভাবনা নাই। আজকে আমাদের এমন ঐক্য দরকার যে ঐক্য শাসনতন্ত্র রক্ষা এবং প্রতিষ্ঠা করবে। শাসনতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি বলেন, ‘এখন সংসদীয় শাসনতন্ত্র নাই। এটা ইচ্ছামত পরিবর্তন করে গন্ডগোল বাঁধানো হয়েছে। এটা পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের গণতান্ত্রিক চরিত্র ধ্বংসের শাসনতন্ত্র করা হয়েছে। যারা করেছে তারা চালাকি করেছে।’

‘শাসনতন্ত্র বদলের কথা বলছেন কি না’ এমন প্রশ্নে এই আইনজীবী বলেন, ‘নিশ্চয়ই। নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য পরিবর্তন দরকার। শাসনতন্ত্র হলো একটা ব্যবস্থা। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিজের মতো করে যেটা পরিবর্তন করেছেন সেটা পরিবর্তন করতে হবে। ভারতের মতো নির্বাচন তো আপনি করতে পারবেন না। কারণ শাসনতন্ত্রে সেটা নাই।’

‘সঙ্কট থেকে উত্তরণের উপায় কি?’ এমন প্রশ্নে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের ব্যবস্থা না মেনে গায়ের জোরে এককভাবে যদি শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করে বলেন আমি ক্ষমতায় থাকবো, পার্লামেন্টে থাকবো যেটা পৃথিবীর কোথাও দৃষ্টান্ত নাই। এটা গায়ের শক্তির কথা। গায়ের শক্তি যাদের আছে তারা প্রয়োগ করবে। যারা গণতান্ত্রিক, জনগণের আস্থার সরকার হয় তারা সব জায়গায় ষড়যন্ত্র খুঁজে বেড়ায় না। যে সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন নাই সে সরকারে সব সময় একটা অস্থিরতা থাকে।‘

‘এই সরকার একটা বিরাট ষড়যন্ত্রের মধ্যে আছে। এই ষড়যন্ত্র থেকে তারা যদি উত্তোরণ করতে না পারে তাহলে তাদের ধ্বংস তারা নিজেরাই আনবে। সঙ্কট দূর করতে না চাইলে, ইচ্ছা না থাকলে গায়ের জোর দেখাতে চাইলে অন্যরাও গায়ের জোর দেখাতে চাইবে, দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র হবে। মনে রাখতে হবে শাসনতন্ত্র বন্ধু। এটাকে সমুন্নত রাখতে হবে।’

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: