আলিঙ্গন করেই রোগ সারান যে নারী!

প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৪৮ পিএম

মানুষ প্রিয়জনের প্রতি ভালবাসা, মমতা ও অন্তরঙ্গতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আলিঙ্গন করে থাকে। তবে রোগ-ব্যধি সারানোর জন্য যদি এই আলিঙ্গনকেই থেরাপি হিসেবে ব্যবহার করা হয়; তাহলে নিশ্চয়ই অবাক হবেন তাই না! হ্যাঁ, তেমনই এক বিচিত্র চিকিৎসা প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন জেসিকা ও’নেইল।

অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী এই নারী ছিলেন ম্যাসাজ ও কাউন্সেলিং থেরাপিস্ট। পরে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারেন যে, ক্লায়েন্টদের জড়িয়ে ধরলে তারা আরো বেশি উপকৃত হবে। এ ধারণা থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন, কাডল থেরাপিস্ট (আলিঙ্গন থেরাপিস্ট)। কুইন্সল্যান্ডে নিজের স্টুডিওতে তিনি প্রচুর পরিমাণ ক্লায়েন্টদের বুকে জড়িয়ে ধরতে থাকেন। এর ফলাফল হিসেবে সাফল্যও ধরা দিতে থাকে তার হাতের মুঠোয়। বর্তমানে বাৎসরিকভাবে তিনি প্রায় ৫৮ হাজার মার্কিন ডলার আয় করছেন এই পেশা থেকে।

তবে জেসিকা যে, ধুম করে জড়িয়ে ধরেন বিষয়টা তেমন নয়। মনোরোগ নিয়ে ক্লায়েন্ট যখন তার শরণাপন্ন হয়, তখন তিনি পুরো বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে পর্যালোচনা করেন। এরপর, তাকে থেরাপি দেয়া শুরু করেন। একপর্যায়ে মেডিটেশনের মাধ্যমে রোগীকে আধ্যাত্মিক স্তরে উন্নীয় করেন জেসিকা। তারপর অন্তরঙ্গভাবে তাকে আলিঙ্গন করেন।

এতে রোগী সবিস্তারে তার বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত দিতে থাকে। একই সঙ্গে রোগীর মনোকষ্ট, উত্তেজনা, উৎকন্ঠা ইত্যাদিও প্রশমিত হতে থাকে। এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট আত্মিকভাবে অনেক প্রশান্তি অনুভব করে থাকেন। পাশাপাশি তার চিকিৎসা করাও জেসিকার জন্য সহজ হয়ে যায়। এতে যৌনতার বিষয়টি চলে আসে কিনা তা জানতে চাইলে জেসিকা বলেন, ‘আসলে এটা সেবা ও মানবিক দৃষ্টিতে করা হয়, এখানে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ নেই।’

বর্তমানে জেসিকা ও’নেইলের এই আলিঙ্গনধর্মী থেরাপি অস্ট্রেলিয়াতে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। জেসিকার গুণগ্রাহী ও ক্লায়েন্টের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। ব্যতিক্রমী চিকিৎসা পদ্ধতিটি নিয়ে অনেক মনোবিদই পর্যালোচনা করছেন সেখানে। সূত্র: ফক্সনিউজ

বিডি২৪লাইভ/এএআই/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: