প্রেমের প্রতারণা ঠেকাতে আজব কৌশল!
অধিকাংশ সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় মূলত আস্থা ও বিশ্বাসের অভাবে। সম্পর্কে যখন বিশ্বাস দুর্বল হয়ে যায়; তখন বাড়তে থাকে সন্দেহ ও অবিশ্বাস। সবমিলিয়ে এক চরম ভোগান্তিদায়ক পরিস্থিতি তৈরী হয় দু‘পক্ষের মাঝে। গবেষকরা বলছেন, উত্তরাধুনিক সভ্যতার ফলাফল হিসেবে মানুষের ভেতরে জমছে অবিশ্বাস, সন্দেহ ও পারস্পরিক আস্থাহীনতা। বিষন্নতা ও হতাশায় মগ্ন হয়ে পড়ছে মানুষ। কেউ কেউ বেছে নিচ্ছে আত্মহননের পথ। তো প্রেম বা সম্পর্কের জন্য এই যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি; তা হ্রাস করতে বিশেষ ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে চীন। অন্যান্য দেশের মত চীনেও সম্পর্কে প্রতারণার বিষয়টি খুবই কমন।
তো সেই সমস্যা নিরসনে এগিয়ে এসেছে অনলাইন ভিত্তিক কিছু উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। তাদের কাজ হল প্রেম ও বৈবাহিক সম্পর্কের প্রতারণা ঠেকানো। হয়তো জানতে ইচ্ছে করছে কিভাবে কাজ করে তারা। চলুন জানা যাক তাদের কর্ম প্রক্রিয়া সম্পর্কে।
যেকোনো বয়সের মানুষ যখন ক্লায়েন্ট হয়ে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ করে, তখন প্রথমেই তারা চুক্তি করে নেয়। তারপর শুরু করে নিজেদের কাজ। ক্লায়েন্ট এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী তারা তার পার্টনারের বিষয়ে সমস্ত তথ্য-উপাত্ত রেডি করে। তার সেলফোন নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস এমনকি সোস্যাল মিডিয়াতে তাদের পদচারণার ইতিবৃত্তও সংগ্রহ করে তারা। এরপর প্রতিষ্ঠান থেকে লিঙ্গভেদে পরিস্থিতি অনুযায়ী উপযুক্ত মেয়ে বা ছেলেকে নিয়োগ দেয়া হয় ফেইক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য।
ক্লায়েন্ট এর বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে চ্যাটিং এবং মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু হয়। পরে তা ডেটিং অবধি গড়ায়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বুঝে নেয় যে ক্লায়েন্টের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে কিনা। অর্থাৎ যেকোনো প্রক্রিয়ায় লোভনীয় প্রতারণার ফাঁদ ফেলে, ক্লায়েন্টের পছন্দের মানুষটিকে পরীক্ষা করা হয়। যদি সে পরীক্ষায় সে পাস করে তাহলে ক্লায়েন্টকে জানানো হয় যে, তার সম্পর্কটি সেইফ। আর নেতিবাচক হলে সেটিও জানানো হয় তাকে। পাশাপাশি সতর্ক করা হয়, প্রতারণা সম্পর্কে।
এ পদ্ধতিটি চীনে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অনেক মানুষই এখন সম্পর্কের সততা যাচাই করছেন অনলাইন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায়। তবে এ বিষয়ে পর্যালোচকরা কিছু নেতিবাচক কথাও বলেছেন। কারণ অনেক সময় ট্রান্সপারেন্টলি যদি বিষয়টি ডিল করা না হয়, তবে তা দুজন মানুষের জীবনকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। তবে এরপরও চীনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিষয়টি। ‘লাভ টেস্টার’হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে গোচা প্রক্রিয়াটিকে।
বিডি২৪লাইভ/এএআই/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: