ইবির ভর্তি পরীক্ষায় পাশের শর্ত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত ও এমসিকিউতে পাশের শর্তারোপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে লিখিত ২০ নম্বরের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে সর্বনিম্ন ৭ এবং এমসিকিউ ৬০ নম্বরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩২ নম্বর পেতে হবে।
রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা যায়, এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের অধীনে মোট ৩৩টি বিভাগে ২২৭৫ টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবছর ৮টি ইউনিটের পরিবর্তে ৪টি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর রাত বারোটার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
এবছর ভর্তি পরীক্ষা লিখিত ও এমসিকিউ পদ্ধতির সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে মোট ১২০ নম্বরের। এর মধ্যে ৬০ নম্বর এমসিকিউ এবং ২০ নম্বর লিখিত। ভর্তিচ্ছুদের লিখিত পরীক্ষায় ২০ নম্বরে ৭ এবং এমসিকিউতে ৬০ এর মধ্যে ৩৩ নম্বর পেতে হবে। এছাড়া কোটায় শিক্ষার্থীদের জন্য লিখিত ৭ নম্বরসহ এমসিকিউতে সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ২৪.৪০ নম্বর পেতে হবে। বাকি ৪০ নম্বর একাডেমিক (এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান) ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। তবে একাডেমিক ৪০ নম্বর নির্ধারনের শর্ত গতবছরেরটা বহাল রাখা হয়ে। কোন ভর্তিচ্ছু লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে তবে তার ওএমআর শীট মূল্যায়ন করা হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগকে 'বি' ইউনিটের অধীন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, এর আগে গত ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৮টি ইউনিটের পরিবর্তে এবছর ৪টি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সাথে আইন ও শরীয়াহ অনুষদভুক্ত আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ ও মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগকে ধর্মতত্ব অনুষদভূক্ত ‘এ’ ইউনিটের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার নিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপর প্রশাসনের এই সিদ্ধানের প্রতিবাদে বিভাগের অবস্থান ধর্মঘটসহ ক্লাসবর্জন কর্মসূচি পালন করে বিভাগ দুটির শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কেন্দ্রিয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগকে ‘বি’ ইউনিটের অধীন অন্তভূক্ত করা হয়।
তবে আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ এবং আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তির জন্য কিছু শর্ত আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির জন্য ৫০ শতাংশ আসন মাদ্রসা ও ৫০ শতাংশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এ যেকোন একটিতে আরবী অথবা ইসলামিক স্টাডিজের মান থাকার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষার আবেদনসহ ভর্তির যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.iu.ac.bd) থেকে জানা যাবে।
বিডি২৪লাইভ/এমকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: