‘গাঁজা’ খাওয়ার অনুমতি না পেয়ে জাবি ছাত্রের কাণ্ড!

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৮ এএম

তিন দিন আগের ঘটনা। বিভাগীয় সভাপতি বরাবরে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্র। কিন্তু অনুমতি না পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে সে। এবার নিজ বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) কিশোর কুমার দাস নামের ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ করে। কিশোর কুমার পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪১ ব্যাচের (বর্তমানে ৪৩ ব্যাচের সঙ্গে অধ্যয়নরত) ছাত্র।

এরআগে ফেসবুকের একটি গ্রুপে মেসেঞ্জারে তার অশালীন কথাবার্তার স্ক্রিনশট পোস্ট করেন অন্য বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী। ওই সময় আরও কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীও একইরকম বার্তা পেয়েছেন অভিযোগ তোলেন। এমনকি নিজের প্রেমিকাকে ছাত্রী হলের সামনে মারধরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, তিন দিন আগে তাকে (কিশোর কুমার) বিভাগে গাঁজাসহ ধরেন শিক্ষকরা। ওইদিন তার পরীক্ষা ছিল। গাঁজা খাওয়া খারাপ কিছু না দাবি করে সে বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিতভাবে গাঁজা সেবনের অনুমতি চায়।’

প্রক্টর বলেন, ‘পরে বিভাগ কিশোর কুমারকে আমাদের কাছে পাঠায়। আমরা তাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছি। আজ আবার এক ছাত্রী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছে। এদিকে টিএসসির এক কর্মকর্তাও অসংলগ্ন আচরণের অভিযোগ এনেছেন তার বিরুদ্ধে।’

&dquote;&dquote;

এ বিষয়ে প্রক্টর আরও বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে সে আর স্বাভাবিক নেই। তবে সে যা যা করেছে তা ছাত্র শৃঙ্খলাবিরোধী। ডিসিপ্লিনারি বোর্ড বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করবে।’

জানাগেছে, অভিযুক্ত কিশোর কুমার ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করলে হল ছাড়েন তিনি।

সে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সুস্বর' নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন। তবে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে কয়েকমাস আগে সংগঠনটি তাকে বহিষ্কার করে। সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।

এদিকে এ বিষয়ে অভিযুক্ত কিশোর কুমার দাসের মোবাইল নম্বরে কল করে পাওয়া যায়নি।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: