ডিজিটাল নিরাপত্তার চূড়ান্ত বিলে যা রয়েছে

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৫৯ পিএম

ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলের ওপর প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। প্রতিবেদন দিতে এক মাস সময় নেওয়ার পরদিন মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিলটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, সংসদীয় কমিটি ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। বিলের বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে। সাংবাদিকদের প্রস্তাব মোতাবেক অনেক পরিবর্তনও আসছে।

বিল চূড়ান্ত করতে এক মাস সময় নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরান আহমদ বলেন, মঙ্গলবারের বৈঠকে যদি বিল চূড়ান্ত করা না যেত, তাহলে তো আরও বৈঠক করতে হতো।

সূত্র জানায়, বৈঠকে বিলটি নিয়ে বিশেষ কোনো আলোচনা হয়নি। এর আগের কয়েক দফা বৈঠকে ১৬টি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব ছিল। মূলত সেগুলোই চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সংসদের চলতি অধিবেশনেই এই বিলের ওপর সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন পেশ করা হতে পারে। সংসদীয় কমিটি সংসদে তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার পর তা পাসের জন্য সংসদে তুলবেন মন্ত্রী।

বিতর্কিত তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখা হয়েছিল। বিলটির আটটি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের তিনটি পক্ষ-সম্পাদক পরিষদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বিলটি নিয়ে বৈঠক করেছিল সংসদীয় কমিটি।

সংসদীয় কমিটির সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত আইনের ২১ ধারায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংজ্ঞা যুক্ত করেছে সংসদীয় কমিটি। সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে ব্যাখ্যা দেওয়া আছে সেটাই হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংজ্ঞা। ২৫ নম্বর ধারার ‘খ’ উপধারা (এমন কোনো তথ্য সম্প্রচার বা প্রকাশ করা যা কোনো ব্যক্তিকে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ করতে পারে) বাতিল এবং সব মিলে দুটি উপধারা করা, ২১ ধারায় সাজা যাবজ্জীবনের ক্ষেত্রে ১৪ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ সাজার কথা আইনে বলা হয়েছে। অপরাধ বিবেচনায় আদালত ঠিক করবে সর্বনিম্ন সাজা কত দিন হবে। ৩২ ধারায় ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির কথা বলা হয়েছে। সংসদীয় কমিটি গুপ্তচরবৃত্তি নির্ধারণ করতে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট অনুসরণ করতে বলেছে।

এ ছাড়া বিলের ৫ নম্বর ধারায় ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির একজন মহাপরিচালকের সঙ্গে দুজন পরিচালক যুক্ত করা, ১২ ধারায় জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একজন প্রতিনিধি রাখা (তথ্য মন্ত্রণালয় এই প্রতিনিধি নির্ধারণ করবে), ২১ ধারায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডার সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত অবমাননার বিষয় যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ৫৩ ধারায় আগে ছিল অভিযোগ গঠনের ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। সেটা ১৮০ কার্যদিবস করা এবং মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা সর্বোচ্চ ৯০ দিনের পরিবর্তে ৯০ কার্যদিবস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এএস/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: