নিষেধ সত্ত্বেও তরুণীর প্রেম, বাবা ও দাদার ভয়ংকর কাণ্ড!

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:১৩ পিএম

মেয়েটি প্রেম না করতে বার বার নিষেধ করেছিল তার পরিবার। কিন্তু, সেই নিষেধ অমান্য করে রীতিমতো প্রেম পর্ব চালিয়ে যাচ্ছিলেন তরুণী। আর এর পরিণতি হলো- খুবই নির্মম।

শেষ পর্যন্ত পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে অবাধ্য মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ট্রাকের ভেতর গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে ওই তরুণীকে হত্যা করে তার নিজের বাবা ও দাদা।

ভারতের কলকাতায় হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিহারের মুজফ্‌ফরপুরের চকআলহাদাদ এলাকার বাসিন্দা নিহত ওই তরুণীর নাম জাহানা খাতুন (২৫)। কলকাতায় বেনিয়াপুকুর এলাকাতেও তাদের বাড়ি আছে বলে জানা যায়।

জানা গেছে, নিজের মেয়ে জাহানা কে খুন করার পর তার লাশ ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দাদা মহম্মদ জাহিদ ও বাবা মহম্মদ মুস্তাফা। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।

জামালপুর থানা পুলিশ, নিহত ওই তরুণীকে উদ্ধার করে তার ঊরুতে মেহেদি দিয়ে লেখা ফোন নম্বর থেকে খুনের কিনারা বের করতে সক্ষম হয়।

পরে ঘাতক বাবা মহম্মদ মুস্তাফা ও দাদা মহম্মদ জাহিদ তাদের কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৩১ আগস্ট সকালে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে জামালপুর থানার নবগ্রামের ময়না এলাকা থেকে এক অপরিচিত তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তরুণীর দুই ঊরুতে লেখা চারটি ফোন নম্বর এবং ‘‌করণ’‌ নামে এক যুবকের নাম পাওয়া যায়।

পুলিশ সেই ফোন নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে। মহারাষ্ট্রে করণ কুমারের কাছে পৌঁছে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে দেখন ওই যুবক জরির কাজ করেন। এরপর পুলিশ তার কাছ থেকে ওই তরুণীর নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করেন।

পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ওই যুবতীর সঙ্গে করণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর সেই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি মেয়েটির পরিবার। প্রেমের সম্পর্ক থেকে সরে আসতে তাই জাহানাকে তার মাসির বাড়িতে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। এতো নির্যাতন করেও তাদের ভালোবাসা আটকাতে না পেরে গত ২৯ আগস্ট বিহার থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় জাহানা খাতুনকে।

ওই তরুণীর বাবা মহম্মদ মুস্তাফা ও দাদা মহম্মদ জাহিদ সেখানে লরির ব্যবসা করতেন। জাহানার হাত–মুখ বেঁধে সেই লরিতেই চাপিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গত ৩০ আগস্ট রাতে কলকাতা থেকে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পূর্ব বর্ধমানের দিকে আসে। পথিমধ্যে জামালপুরের নবগ্রাম নামক এলাকার কাছে জাহানাকে পেছন থেকে নাইলনের দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।

এখানেই শেষ নয়, পরে তুরুণীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাতও করা হয়। এরপর জাহানার মৃতদেহ জাতীয় সড়কের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তার বাবা মুস্তাফা ও দাদা জাহিদ।

গত মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃট দুজনকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: