‘আগে টিনের ঘর করতো এখন দালান করছেন ভাঙবেই-তো’!

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৫২ পিএম

শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় হাজার হাজার পরিবার পদ্মার ভাঙনে সর্বস্ব হারালেও ভাঙন প্রতিরোধ করার কোনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নিয়ে ভাঙনের শিকার মানুষের উপরেই দায় চাপাচ্ছেন পানিসম্পদমন্ত্রী।

পদ্মার ভাঙনের ঘটনাকে একেবারেই স্বাভাবিক দেখছেন সরকারের পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেন, ইর্মাজেন্সী বলে কিছু নেই। যেখানে প্রজেক্ট রয়েছে, সেখানে কাজ হচ্ছে। নড়িয়া একমাত্র জায়গায় নয়, শুধু সেখানেই ভাঙন হচ্ছে। এটা নদী ভাঙনের দেশ। এখানে আগে টিনের ঘর করতো। এখন দালান করছেন। ভাঙবেই-তো।

&dquote;&dquote;এমনকি ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানো মানুষের সহায়তায় সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর এমন অবস্থায় পদ্মার ভাঙনকে ‘একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা’ হিসেবে দেখছেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই দায়ী।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক ইনামুল হক বলেন, ‘প্রতিরক্ষা কাজগুলো এমন, যদি ঠিকমতো কাজ হয়, তাহলে নদীকে ওখানে ঠেকানো যায়। কিন্তু উজানে ও ভাটিতে আবার ভাঙে। গত তিন বছর যাবত ধরে প্রকল্পটা ঘুরছে, অনুমোদন নিতে পারেন নি। এছাড়াও টাকা নিতে পারেন নি। এখন-তো অনেক দূর পর্যন্ত ভেঙে গেছে। বহু সম্পদ সম্পত্তি ভেঙে গেছে।’

এছাড়া নদী ভাঙন এলাকার মানুষের সহায়তায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: