৫১ বছরে পদ্মার পেটে ৬৬ হাজার হেক্টর জমি

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:০২ পিএম

পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনের দু’টি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমত এটি প্রাকৃতিক, মুক্ত প্রবাহিত নদী সুরক্ষার তেমন ব্যবস্থা নেই। দ্বিতীয়ত নদীর তীরে একটি বড় বালুচর রয়েছে যা দ্রুতই ভেঙে যেতে পারে।

পদ্মা নদীর ভাঙনে ১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৬ হাজার হেক্টরের (২৫৬ বর্গমাইল) বেশি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। যা প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরগুলোর একটি- শিকাগোর সমান। 

২০১৮ সালের আগস্টে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র- নাসা আর্থ অরজারভেটরি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট ছবিতে পদ্মা নদীর প্রস্থ, গভীরতা, গঠন এবং সামগ্রীক আকার পার্থক্য উল্লেখ করে ভাঙন পরিমাপ করে। নাসার ‘ভাঙনের আকৃতি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রাকৃতিক-রঙের স্যাটেলাইট ছবিগুলোর সাথে ১৯৮৮ সাল থেকে পদ্মার আকৃতি এবং প্রস্থের পরিবর্তনগুলো তুলনা করেছে।

বহু বছর ধরে, গবেষকরা নদীর বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করেছে। প্রত্যেক ‘টুয়িস্ট এন্ড জিগজ্যাক’ স্যাটেলাইট ছবি নদীর একটি ভিন্ন কাহিনী তুলে ধরছে। নাসার ল্যান্ডস্যাট স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত ছবিগুলো শুষ্ক মৌসুমে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে তোলা হয়েছে।

নদীর নিচে পলি মাটি বিভিন্ন উৎস থেকে আসতে পারে। এক তত্ত্বমতে, কিছু পলিমাটি ১৯৫০ সালে সৃষ্ট ভূমিকম্পের ফলে ভূমিধসের অবশিষ্টাংশ। গবেষকরা মনে করেন, এসব বালির মতো ক্ষুদ্র উপাদান নদীর মধ্য দিয়ে অর্ধ শতাব্দী ধরে সৃষ্টি হয়েছে।

নাসার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত তিন দশক ধরে পদ্মা নদী তুলনামূলকভাবে সংকীর্ণ, সোজাসুজি অবস্থান পরিবর্তন করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে। স্যাটেলাইট ছবিতে, সবচেয়ে লক্ষণীয় পরিবর্তন হয়েছে হরিরামপুর উপজেলার অঞ্চলের নিকটবর্তী এলাকাগুলোতে, যেখানে সবচেয়ে বেশি ভাঙন হয়েছে। ১৯৯৮ সালে ভারতে ফারাক্কা বাঁধ উদ্বোধনের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে বন্যা দেখা দেয়, যা বাংলাদেশে আরো বেশি পানি ঢুকে পড়ে।

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: