সন্তান আটকে রেখে মাকে যৌনকর্মে বাধ্য করা হয়!

ছবি : প্রতীকী
মেক্সিকোতে যৌন ব্যবসায় থাকা অনিচ্ছুক কোনো নারীকে কাজ করতে বাধ্য করার জন্য অনেক সময় তার সন্তানকে জিম্মি করা হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করা মানবাধিকার কর্মীরা৷
গত পাঁচ বছরে যৌন পাচারের শিকার প্রায় চারশ নারী এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন টেরেসা উলুয়া৷ তিনি ‘কোয়ালিশন অ্যাগেনস্ট ট্র্যাফিকিং ইন ওমেন'-এর ল্যাটিন অ্যামেরিকার আঞ্চলিক পরিচালক৷
থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে তিনি জানান, পাচারকারীরা সাধারণত মেক্সিকোর ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সি দরিদ্র মেয়েদের নর্তকী কিংবা মডেল হিসেবে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে থাকেন৷ এরপর তাদের রাস্তায় কিংবা পতিতালয়ে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করেন৷ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে ডয়েচে ভেলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক সময় দেখা যায়, পাচারকারীরা মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তাদের বিয়ে করে৷ পরে ঐ মেয়েরা সন্তানের জন্ম দিলে তাদেরকে সন্তানের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়৷
মেয়েরা যদি যৌনকর্মী হিসেবে তাদের সাপ্তাহিক কোটা পূরণ না করে, কিংবা তারা যদি কাজ করতে অনিচ্ছুক হয় অথবা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের সন্তানদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া কিংবা ক্ষতি করার হুমকি দেয়া হয়৷
কর্তৃপক্ষ গত এক দশকে মধ্য মেক্সিকোর পুয়েবলা ও লাক্সকালা রাজ্যে যৌনকর্মে বাধ্য করাসহ মানব পাচারের ১৬৯টি মামলা তদন্ত করেছে৷ ‘কিন্তু মেয়েরা যদি জানে তাদের সন্তান এখনো পাচারকারীদের কাছে আছে, তাহলে তাঁরা কথা বলবে না,’ বলে জানান মানবাধিকারকর্মী টেরেসা উলুয়া৷
তিনি বলেন, লাক্সকালা রাজ্যে যৌনপাচার ব্যবসাটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসছে৷ ঐ রাজ্যে এটা অনেকটা পারিবারিক ব্যবসার মতো৷
‘সন্তানদের বেশ্যালয়ের দালাল হওয়ার আগ্রহ ও প্রস্তুতি পরিবারগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য৷ এমনকি শিশুরা বড় হয়ে দালাল হবে বলতে পেরে গর্ব বোধ করে,’ বলেন টেরেসা উলুয়া৷
বিডি২৪লাইভ/এইচকে
পাঠকের মতামত: