‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন’ যা বলছে টিআইবি

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:০১ পিএম

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আস্থার সংকট রয়েছে। টিআইবি নির্বাহী মনে করেন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং হেরে যাওয়া দল ফল প্রত্যাখ্যান করার কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নিজ কার্যালয়ে ‘রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সুশাসন ও শুদ্ধাচার’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আস্থার সংকট রয়েছে বলে মনে করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতা রয়েছে। জনগণের মধ্যেও আস্থাহীনতা দেখা যাচ্ছে। ফলে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। 

তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা থাকলে দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করে টিআইবি।

তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কি না তা নিয়ে সবার মধ্য সংশয় আছে। তার মানে এই নয়; দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। 

টিআইবি মনে করে, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, যদি রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভূক্তির জন্য টিআইবি ৬টি ক্যাটাগরিতে ৩৫টি সুপারিশ করে তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে ইশতেহার প্রকাশে যতটা আগ্রহী থাকে, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ইশতেহার বাস্ততবায়নে ততটা আগ্রহী থাকে না।

টিআইবি সুপারিশগুলোর হচ্ছে- সংসদে সরকারি দলের একচ্ছত্র ভূমিকা নিরুৎসাহিত্য করতে দলীয় প্রধান, সরকার প্রধান ও সংসদ নেতা একজন হওয়া উচিত নয়। তিনজন এক ব্যক্তি হলে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে না। বিরোধী দলকে সংসদীয় কার্যক্রমে আরও বেশি সুযোগ দেওয়া, ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে নিয়োগ দেওয়া, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: