বিপ্লবীদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্যের উদ্বোধন শনিবার
আদিবাসী-কৃষক অধিকার-খ্যাত সাঁওতাল বিদ্রোহ ও তেভাগা আন্দোলনের বিপ্লবীদের স্বরণে দেশে এই প্রথম দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ঐতিহাসিক কান্তনগর মন্দির প্রবেশ সড়ক দ্বীপে নির্মিত স্বারক ভাস্কর্যের উদ্বোধন হচ্ছে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর)।
প্রথম পর্বে শনিবার সকাল ১১ টায় স্বারক ভাস্কর্যের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, উষাতন তালুকদার এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুল ইসলাম।
অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম, বাংলাদেশস্থ ভারথীয় হাই কমিশনার. ঢাকা ফাস্ট সেক্রেটারী (পলিটিক্যাল) রাজেশ উকি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের সেক্রেটারি জেনারেল শিশির শীল ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রণাথ সরেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখবেন দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের জাতীয় সংসদ সদস মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন সাঁওতাল বিদ্রোহ ও তেভাগা আন্দোলন বিপ্লবীদের স্বারক ভাস্কর্য উন্মোচন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব চিত্ত ঘোষ।
দ্বিতীয় পর্বে বিকাল ৩ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভারথীয় সংগীত শিল্পীসহ দেশ বরেণ্য শিল্পিরা গান গাইবেন।
উল্লেখ্য তেভাগা আন্দোলন ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বর -এ শুরু হয়ে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত চলে। বর্গা বা ভাগ-চাষীরা এতে অংশ নেয়। মোট উৎপন্ন ফসলের তিন ভাগের দুইভাগ পাবে চাষী, এক ভাগ জমির মালিক- এই দাবি থেকেই তেভাগা আন্দোলনের সূত্রপাত। এর আগে বর্গা প্রথায় জমির সমস্ত ফসল মালিকের গোলায় উঠত এবং ভূমিহীন কৃষক বা ভাগ-চাষীর জন্য উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক বা আরও কম বরাদ্দ থাকত। যদিও ফসল ফলানোর জন্য বীজ ও শ্রম দুটোই কৃষক দিত। তৎকালীন পূর্ব বাংলা এবং পশ্চিমবঙ্গে এই আন্দোলন সংগঠিত হয়। তবে দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় এই আন্দোলন তিব্র আকার ধারণ করেছিল।
দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ঐতিহাসিক কান্তনগর মন্দির প্রবেশ সড়ক দ্বীপে নির্মিত স্বারক ভাস্কর্যে সিদু, কানুসহ তেবাগা আন্দোলনের নেতা কৃষক নেত্রী কমরেড ইলা মিত্র, গরুদাস তালুকতার, হাজী মোহাম্মদ দানেশ ও খোকা বাইশের প্রতিকৃতি রয়েছে।
সাঁওতাল বিদ্রোহ ও তেভাগা আন্দোলনের বিপ্লবীদের স্বরণে নির্মিত ভাস্কর্য উদ্বোধনকে ঘিরে এই অঞ্চলের সাঁওতাল ও আদিবাসীদের মধ্যে উৎসবের আজেম বিরাজ করছে। শনিবার মিলন মেলায় পরিণত হবে ঐতিহাসিক কান্তনগর মন্দির প্রবেশ সড়ক দ্বীপে নির্মিত স্বারক ভাস্কর্য চত্ত্বর।
বিডি২৪লাইভ/এইচকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: