কচুরিপানা পরিষ্কারে বিলে ইউএনও
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আশুড়ার বিলে কচুরিপানা পরিষ্কার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বিলে নামেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। শুক্রবার (২ সেপ্টম্বর) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক আশুড়ার বিলে এই অভিযান চালান তিনি। এ সময় তিনি নিজেই পানিতে নেমে পড়েন।
এক সময়ের লাল-সাদা শাপলা ও পদ্ময় ভরপুর দৃষ্টিনন্দন বিলটি অবৈধ দখলদারদের দাপটে হারিয়ে ফেলে সৌন্দর্য। বাঁশের বেড়া আর কচুরিপানা দিয়ে বিলটি ভরে গেছে। তাই বিল পরিষ্কার ও দখলদারদের হাত থেকে আশুড়ার বিলকে উদ্ধারের জন্য সপ্তাহ জুড়ে নির্দেশ দিচ্ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মশিউর রহমান।
তিনি যেভাবে চাইছিলেন, ঠিক সে ভাবে কাজটি হচ্ছিল না। শুক্রবার তাই নিজেই নেমে পড়েন বিলে। এক টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা বিলের কাদা পানিতে পরিষ্কার করেন কচুরিপানা। উচ্ছেদ করেন অবৈধ স্থাপনা সমূহ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিলে নামতে দেখে স্থানীয় জনসাধারণসহ রাজনৈতিক নেতারাও নেমে পড়েন বিলে। তারাও যোগ দেন পরিষ্কারের পরিচ্ছন্নতার কাজে।
মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন জানান, ৩৬০ হেক্টর এলাকাজুড়ে আশুরা বিল। এখানে দেশীয় মাছ লাল খলশে, কাকিলা, ধেধলসহ বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়।
অভিযানে অংশ নেওয়া নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিলের কাদা পানিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেকে কচুরিপানা পরিষ্কার, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন তা স্বপনও ভাবিনি।
তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বিলটি এক সময় উত্তরাঞ্চলের ভ্রমণ পিপাসুদর অন্যতম দর্শনীয় স্থান ছিল। দখলদারদের কারণে বিলটির ঐতিহ্য হারিয়েছে। এটি রক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় লোকজনের ছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমানের ব্যতিক্রমী অভিযান তাদের চোখ খুলে দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান বলেন, জাতীয় উদ্যানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এ বিলটি দেশের অমূল্য সম্পদ। এক সময় এ বিলজুড়ে ফুটত লাল-সাদা শাপলা ও পদ্ম ফুল। শীতে অতিথি পাখিরা আসত। পাখির কলরবে মুখরিত থাকত এই এলাকা। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে একদল প্রভাবশালী মানুষ বিলটি দখলে নিয়েছিল। বিলটিকে বাঁশের বেড়া, মাচা দিয়ে অসংখ্য ভাগে ভাগ করে ফেলেছিল। কচুরিপানায় ভরে গিয়েছিল পুরো বিল। হারিয়ে গেছে শাপলা, পদ্ম ফুল। শীতকালে ধান চাষ করায় ফসলে কীটনাশক ব্যবহারে হারিয়ে গেছে বহু দেশি প্রজাতির মাছ। অতিথি পাখি আর আসেনা।
তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিল জুড়ে লাগানো হচ্ছে শাপলা, পদ্ম। ফিরিয়ে আনা হবে বিলটির হারানো ঐতিহ্য।
বিডি২৪লাইভ/এইচকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: