‘গুরুজনে কর নতি’

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:২৯ পিএম

গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একযোগে গুরুজনের চরণ ছুঁয়ে দোয়া ও আশীর্বাদ গ্রহণ করেছে। তারা গুরুজনের চরণ ধুয়ে মুছে দিয়েছে। পরে তাদের চরণ ছুঁয়ে শিক্ষার্থীরা গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি নিবেদনের শপথ গ্রহণ করে। এ সময় গুরুজনরা তাদের দোয়া ও আশীর্বাদ করেন। 

ভক্তিপূর্ণ কর্মসূচি ‘গুরুজনে কর নতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা গুরুজনদের কাছ থেকে দোয়া ও আশীর্বাদ গ্রহণ করে।

আজ রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ কর্মসূচি পালন করে।

এর আগে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ‘গুরুজনে কর নতি’ শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জ কাজী জহুরুল হক কলেজে আয়োজিত আলোচনা সভায় কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক মনোজ সাহা, প্রভাষক রমজান আলী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বক্তব্য রাখেন। 

এছাড়া গোপালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল বাকী, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কৃষ্ণা রায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়দেব চন্দ্র সরকারসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। 

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন, মাতা-পিতা, শিক্ষক ও গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তির প্রায়োগিক শিক্ষা হিসেবে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘গুরুজনে কর নতি’ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এরমধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক গুণাবলী ফুটে উঠবে। তারা সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

কাজী জহুরুল হক কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ বলেন, দিন দিন কর্মব্যস্ততায় আমরা সার্বজনীনতা হারাচ্ছি। মানুষের মানবিক বোধ লোপ পাচ্ছে। গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি উঠে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসকের এ কর্মসূচি আমাদের সুখী সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

অভিভাবক লিপি বিশ্বাস, নিপা বেগম, কলেজ শিক্ষক সঞ্জয় পোদ্দার, শফিউল্লাহ, কাজী মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ জাতীয় কর্মসূচী শিক্ষার্থীর চেতনাকে জাগ্রত করেছে। মাদক, জঙ্গি তৎপরতা ও ইভ টিজিং থেকে দূরে থাকবে। আমরা তাদের দোয়া ও আশীর্বাদ করেছি। তারা গুরুজনের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ভালো মানুষ হবে। সুন্দর আগামী গড়ে তুলবে।

কাজী জহুরুল হক কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্রিয়া বিশ্বাস, মোসাম্মৎ কামিনী খানম, আল আমীন, শাপলা খানম বলেন, মাতা-পিতা, শিক্ষক ও গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তির প্রায়োগিক শিক্ষা ‘গুরুজনে কর নতি’ আমরা গ্রহণ করেছি। তাদের চরণ ধুয়ে দিয়ে দোয়া ও আশীর্বাদ গ্রহণ করেছি। গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি নিবেদনের শপথ নিয়েছি।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: