আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ৫, বিএনপির ১

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৫:২১ পিএম

বড় বড় শিল্পকারখানা, জাহাজভাঙ্গা শিল্প, চট্টগ্রাম নগরীর প্রবেশ পথ হওয়ার চট্টগ্রাম ৪ সীতাকুণ্ড আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসনটি থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য পাঁচজন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে তৈরি হয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। অন্যদিকে একক প্রার্থী থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপিতে।

চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনটি সীতাকুণ্ড উপজেলা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং আকবর শাহ ও ১০ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড আংশিক নিয়ে গঠিত। সাগর তীরে স্থাপিত জাহাজভাঙ্গা শিল্প, দেশের বড় বড় শিল্প কারখানা রয়েছে চন্দ্রনাথ মন্দির, ইকোর্পাক, বাশঁবাড়িয়া বিস, গোলিয়াখালি বিস ও গল্প ক্লাব।

সিটি কর্পোরেশনের প্রবেশপথ হওয়ায় সংসদীয় এলাকাটির গুরুত্ব অনেক। আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের দিদারুল আলম এমপি আবারো আসনটিতে মনোনয়ন চাইবেন। সেই সাথে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আল মামুন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আল বাকের ভূইয়া ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পারেভজ উদ্দিন সান্টু।

বর্তমান সাংসদ দিদারুল আলম এমপি বলেন, আমি বিগত পাঁচ বছর যাবত জনগণের সাথে মাঠে ময়দানে আছি। আমি আবার নির্বাচিত হলে আমার এলাকার বাকি কাজ গুলো শেষ করব।

আসনটিতে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় একাধিক ভাগে বিভিক্ত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সব প্রার্থীই বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে সামনে রেখে পোষ্টার, ব্যানার, বিলবোর্ডে ও সভা সমাবেশে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, যদি আমাকে নমিনেশন দেওয়া হয় তাহলে আমি দল মত নির্বিশেষ সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাব।

অপরদিকে বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হওয়ায় কারাবন্দী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম উদ্দিন চৌধুরী রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। এছাড়াও আসনটি থেকে জামায়াতের আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী নামে একজন নির্বাচন করতে পারে বলে শুনা যাচ্ছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. তফাজ্জাল হোসেন বলেন, আমাদের দলে কোন কোন্দল নেই। সীতাকুণ্ড বিএনপির একক প্রার্থী আসলাম চৌধুরী। যদি নিরেপক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে আসলাম চৌধুরীর বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

আসনটির মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬৯ জন। এলাকার জনগণ বলছে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এমন জনপ্রতিনিধি চান তারা। পাশাপাশি এলাকাটি মাদকমুক্তও থাকবে।

এর আগে দুই বার বিএনপি এবং চারবার আওয়াম লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: