আতঙ্ক নয়, ছাত্রলীগ হবে প্রত্যাশার নাম 

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৫:২০ পিএম

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ মানুষের পাশে থাকবে। অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থাকার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধার কথা বিবেচনা করেই রাজনীতি করে যাবে। এই ছাত্রলীগ মানুষের আতঙ্কের নাম হবে না, অতীতের মতোই ছাত্রলীগ হবে প্রত্যাশার নাম। 

বিডি২৪লাইভের একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের এমনিই ইচ্ছার কথা তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম।

তিনি আরও বলেন, মোটর বাইকে ছাত্রলীগের স্টিকার লাগিয়ে চলতে দেওয়া হবে না। অন্য দশটা মানুষের মতোই তাদের চলতে হবে। যদি সম্ভব হয় অন্যদের চেয়ে আরও বেশি বিনয়ী হয়ে তাদের চলার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি। 

আমি আমার নেতাকর্মীদের ইতোমধ্যে বলে দিয়েছি যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এই কমিটি দিয়েছেন। সেই প্রত্যাশা পুরোপুরি পুরণ করতে না পারলেও আমাদের কারণে তার মধ্যে যেনো কোনো হতাশার ছাপ দেখতে না পাই সে চিন্তা থেকে রাজনীতিটা করতে হবে।

আগামী নির্বাচনের কোনো প্রতিবন্ধকতা আসলে কীভাবে তা মোকাবেলা করা হবে সে বিষয়ে ইব্রাহীম বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ যেকোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে বদ্ধপরিকর। আমরা রাষ্ট্র অনুমোদিত যেকোনো রাজনৈতিক দলের ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনকে অতীতের মতোই স্বাগত জানাবো। কিন্তু রাজনীতির নামে যদি কেউ জ্বালাও পোড়াও করে, দেশের সম্পদ নষ্ট করে নেত্রীর নির্দেশনায় আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।

কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী যদি মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগ করতে হলে তাদের মাথায় থাকতে হবে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য অতঃপর দেশ ও মানুষের জন্য সংগঠনটির অগ্রযাত্রার কথা। তাদের মনে রাখতে হবে ছাত্রলীগের প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনার কথা। মানুষের পক্ষে এবং অমানুষের বিপরীতে থেকেই আমরা রাজনীতি করে যাবো।

প্রশ্নপত্র ফাঁস, তদবির, চাঁদাবাজী ও নারী কেলেঙ্কারী এসব ঘটনায় ইতোপূর্বে ছাত্রলীগের নানা নেতাকর্মী পত্রিকার নিউজ হয়েছেন। এ থেকে এই কমিটির উত্তরণ কীভাবে? 

এমন প্রশ্নের উত্তরে ইব্রাহিম বলেন, একটা বিষয় ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কিছুদিন আগে যে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। এতে ছাত্রলীগ কী ভূমিকা রেখেছে। তাদের দ্রুত হলে যাওয়ার জন্য নিদের্শনা, মোটর বাইক দিয়ে দ্রুত পরীক্ষার হলে পৌঁছে দেওয়া, তাদের ব্যাগ, বই, ঘড়িসহ বাড়ি থেকে নিয়ে আসা জিনিপত্র দায়িত্বের সঙ্গে জমা রাখা, পরীক্ষার্থীদের মাঝে পানি সরবরাহ করা, ঢাকার বাইরে থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থাসহ নানা কাজ করেছে ছাত্রলীগ। আর এই পরীক্ষায় কেউ প্রশ্ন তোলার সুযোগ পায়নি। আশা করছি আর কেউ এই প্রশ্নও তুলতে পারবেও না। 

আর আমরা আপনি যে অভিযোগ গুলোর কথা বললেন তার প্রমাণ পাওয়া মাত্র সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধের মাত্রা বেশি হয়ে শুধু সংগঠন থেকে বহিস্কার করেই আমরা দায়িত্ব শেষ করবো না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তুলে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবো।

ইব্রাহিম বলেন, শিক্ষার্থীই ছাত্রলীগ করতে পারবে এমনটা নয়। তার অতীত ইতিহাস, পারিবারিক পরিচিতি, মেধা ও প্রজ্ঞা তথা একজন পরিচ্ছন মেধাবী শিক্ষার্থীই কেবল ছাত্রলীগ করতে পারবে। এরজন্য আমার যেরকম পরীক্ষা করা দরকার তা করেই ছাত্রলীগের ব্যানারের নিচ্ছে আনবো।

বিডি২৪লাইভ/এসআই/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: