জোরপূর্বক স্ত্রীকে দিয়ে দেহব্যবসা, অতঃপর...

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:১৫ এএম

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় এক কিশোরী গৃহবধূ (১৩) কে হাত-পা বেঁধে স্বামী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে দেহব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই নির্যাতিত কিশোরী তার বাবার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। 

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- কিশোরী গৃহবধূর স্বামী মো: তারেক (২৪), শ্বশুর জাহেদ আলী (৫০), শাশুড়ি ছফুরন (৪৫), দেবর মো: শরীফ (২২), ফুফাত বোন শিরীন আক্তার (৩০), ধর্ষক হোসেন মিয়া (৩২), সাত্তার (৩৮) ও মুসলিম (৪৫)। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিবাহের পর থেকেই নিকলী উপজেলা সদরের মাইজহাটি গ্রামের জাহেদ আলীর ছেলে স্বামী তারেক মিয়া প্রত্যেক রাতে পর পুরুষের সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে বাধ্য করে। এতে ওই কিশোরী গৃহবধূ বাধা দিলে স্বামী ও শাশুড়ি তাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। এখানেই শেষ নয়, বাবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয় না। তাদের কথা মতো কাজ না করলে ওই গৃহবধূকে বিক্রি করে দেওয়ার কথাও জানায়।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে কিশোরীর স্বামী তারেক ধর্ষক হোসেন মিয়া, সাত্তার ও মুসলিমকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর তাদের সঙ্গে কিশোরীকে রাত্রিযাপনের প্রস্তাব দেয়। 

এ সময় ওই কিশোরী বধূ রাজি না হলে তার দেবর শরীফ, শ্বশুর জাহেদ আলী, শিরিন আক্তারের সহযোগিতায় ধর্ষকরা কিশোরী বধূকে হাত-পা-মুখ বেঁধে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। আধ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে একটি আধা-পাকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তোলেন। এরপর ওই গৃহবধূর ওপর রাতভর পাশবিক নির্যাতন করে তারা। মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে ভোর হলেই তুলে দেয়ার কথা বলে। কিন্তু, শেষ রাতে কোনো রকমে মুখের বাঁধন খুলে চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসী ওই কিশোরী বধূকে উদ্ধার করেন। এ সময় ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। 

উদ্ধারকৃত গ্রামবাসীদের কাছে ওই বধূ জানতে পারে তাকে আটকে রাখা জায়গাটি উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গ্রাম।

পরে গ্রামবাসী কিশোরীর বাবার মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়। দিনমজুর বাবা মানসম্মানের কথা ভেবে মেয়েকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়। 

এ ঘটনায় নিকলী থানায় মামলা করতে গেলে কিশোরীর পরিবারকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কিশোরী বধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। সূত্রে এমনটাই জানা যায়। 

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: