কলার উপকারীতা
কলা খেতে পছন্দ করেন আর নাই করেন। এখন থেকে রোজ একটা কলা খান। কেন জানেন? তা হলে জেনে নিন কলাতে কত উপকার।
১. কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। তাই নিয়মিত কলা খেলে দেহের রক্ত শূন্যতা দূর হয়ে যায়।
২. কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবারহ করে থাকে। এটি দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।
৩. শরীরের পেশির সুস্থতার জন্যও কলা বেশ উপকারী। ব্যায়ামের আগে কিংবা পরে কলা খান। এটি আপনার পেশীর সমস্যা দূর করবে এবং পায়ের মজবুত পেশী গঠনে সাহায্য করে।
৪. শরীরে হিমোগ্লোবিন ও ইনসুলিনের জন্য প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-বি৬ প্রয়োজন। আর কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি৬ আছে, যা দেহে পুষ্টি যোগিয়ে থাকে।
৫. যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা রাখুন, দেখবেন রক্তচাপ আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
৬. কলাতে প্রচুর পরিমাণের ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল আছে, যা দেহের এনার্জি লেভেল ঠিক রেখে শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।
৭. কলা আপনার দেহের রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখবে এবং তার সাথে ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণ করবে।
৮. কলা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। হজমের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন একটি করে কলা খান।
৯. কলা খেলে সেরোটোনিন লেভেল বেড়ে যায়, মন-মেজাজ ফুরফুরে থাকে, হতাশা কেটে যায়।
১০. কলাতে প্রচুর আয়রন থাকে যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে, ফলস্বরূপ রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া প্রতিরোধ হয়।
১১. কলাতে যথেষ্ট ফাইবার থাকে তাই রেগুলার কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন।
১২. যাদের গ্যস্ট্রিক বা আলসার রয়েছে, যারা বুকে জ্বালা পোড়া অনুভব করেন তাদের জন্য কলা প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসাবে কাজ করে।
১৩. গর্ভবতী মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক যে চাপের জন্য উচ্চতাপমাত্রা হয়ে থাকে সেটা কলা খেলে ঠান্ডা এবং নিয়ন্ত্রণে আসে।
১৪. কালো দাগে ভরা কলার ভেতরে টিএনএফ মজুদ থাকে। ফলে খুব সহজেই সেটি আপনাকে দূরে রাখতে পারে ক্যান্সার হতে পারে এমন ধরনের টিউমর থেকে।
১৫. কলা গেটে বাত ও বাতের চিকিৎসায় বিশেষ উপকারী।
১৬. কলায় রয়েছে কোলিন ও ভিটামিন বি যা পেটে ফ্যাট জমতে দেয় না। একইসঙ্গে দেহের অন্য জায়গাতেও জমে থাকা মেদ ঝরিয়ে দেয়।
১৭. কলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম যা মাংসপেশী গঠনে বিশেষ সাহায্য করে। কলা খেলে খুব দ্রুত মাংসপেশীর গঠন তৈরি হয়।
১৮. কলার খোসা দাদের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। চুলকালে সেই অংশে কলার খোসা ঘষে দিলে চুলকানি বন্ধ হবে এবং দ্রুত দাদ সেরে যাবে।
১৯. কোথাও পোকামাকড় কামড় দিলে কোন মলম দেবার আগেই যদি কলা সেই জায়গাতে দেয়া যায়, তাহলে লাল হয়ে ফুলে যাওয়া ভাবটা কমে যায়।
বিডি২৪লাইভ/আরআই
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: