সৈমীও চলে গেল না ফেরার দেশে!
ছোট্ট শিশুটি বিছানায় আরাম করে ঘুমাচ্ছে। মাথা ও বুকের কাছে বালিশ নিয়ে কাত হয়ে শুয়ে আছে। প্রথমে ছবিটি দেখলে এমনিই মনে হবে।
তবে ছোট্ট হাতে ক্যানোলার ব্যান্ডেজ, মাথার উপরে ঝুলছে স্যালাইন। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন বছরের ছোট্ট শিশু সৈমীর এই ছবিটি গত দু’দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘুরপাক খাচ্ছিল।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল সৈমী। হঠাৎ করে শিশুটির প্লাটেলেট কমে যাওয়া, ‘ও’ পজিটিভ রক্তের জন্য ছুটোছুটি, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে পিআইসিইউ ও পরে আইসিইউতে স্থানান্তর ও লাইফ সাপোর্টে থাকার খবরা-খবর পাচ্ছিলেন। অনেকেই শিশুটির সুস্থ হয়ে উঠার জন্য কায়মনে সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছিলেন। চিকিৎসকরাও শিশুটিকে বাঁচিয়ে তুলতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না শিশু সৈমীকে। চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সে চলে গেছে না ফেরার দেশে। ছোট্ট এ শিশুটির মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে শোকের মাতম।
সুমাইয়া ওরফে সৈমী তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা ও বর্তমানে ডেপুটেশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ে কর্মরত গুলশান উর্মির মেয়ে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. আয়েশা আক্তার সুমাইয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে তিন বছর এক মাস আটদিন বয়সী শিশু সুমাইয়া ডেঙ্গু শকড সিনড্রোমে মারা গেছে বলে জানা গেছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিশুটিকে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকাল ৯টায় সে মারা যায়।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ডেঙ্গু হেমোরেজিক ও ডেঙ্গু শকড সিন্ড্রোমে মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়।
বিডি২৪লাইভ/এসএস
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: