গ্রেনেড হামলা মামলার রায়, ১৯ জনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১২:১৪ পিএম

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১০ অক্টোবর) বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন নাজিমুদ্দিন রোডের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া এই মামলায় তারেক রহমানসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে মাইক্রোবাস ও প্রিজন ভ্যানে চড়িয়ে তাদের আদালতে ঢোকানো হয়। তাদের উপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

ভোরে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে আসামিদের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকায় এনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় অস্থায়ী আদালতের গারদে রাখা হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২ থেকে আনা হয় ১৪ আসামিকে। এদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও আব্দুস সালাম পিন্টুও রয়েছেন। আর কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে আনা হয় ১৭ জন আসামিকে।

এদিকে রায় কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ঘিরে পুরো এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়। বিপুলসংখ্যক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ।

এছাড়া, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় পলাতক ১৮ জন আসামির মধ্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন। মামলাটিতে কারাবন্দি সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন আহমেদ ও আরেক ভাই বাবু ওরফে রাতুল বাবু বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে তাজউদ্দিন আহমেদকে দেশে ফেরাতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সাবেক বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য কাজী মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ আছেন সৌদি আরবে এবং হারিস চৌধুরী বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকছেন। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। এ ছাড়া আসামি মো. হানিফ পলাতক রয়েছেন, তার অবস্থানও নিশ্চিত করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

মামলার আসামি দুজন সরকারি কর্মকর্তা সাবেক মেজর জেনারেল এটিএম আমিন এবং সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। ভারতের তিহার জেলে রয়েছেন দুই ভাই মহিবুল মুক্তাকিন ও আনিসুল মুরসালিন। এ ছাড়া হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মো. ইকবাল, খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বদর, মাওলানা লিটন ওরফে জোবায়ের ওরফে দেলোয়ার, ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান এবং ডিসি (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসানও পলাতক রয়েছেন। তবে তারা দেশেই আছেন বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।

অন্য আসামিদের মধ্যে হরকাতুল জিহাদ নেতা শফিকুর রহমান, আব্দুল হাই, দেলোয়ার হোসেন জোবায়ের ওরফে লিটন, খলিলুর রহমান ও ইকবাল এবং পুলিশ কর্মকর্তা খান সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমান কোথায় আছে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: