বাবরসহ মৃত্যুদণ্ড পেলেন যে ১৯ জন

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:১৪ পিএম

দেশের ইতিহাসে বর্বরোচিত ভয়াবহ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (১০ অক্টোবর) রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে চৌদ্দ বছর এক মাস ১৮ দিনের অপেক্ষার অবসান হলো।

জাতি আরেকটি কলঙ্কের দায় থেকেও মুক্তি পেলো; যে কলঙ্ক লেপন করা হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে। ওই দিন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে চালানো হয় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বাকি ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অস্থায়ী বিশেষ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে ১৭ আসামি কারাগারে রয়েছেন। বাকি দুজন পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া কারাগারে থাকা ১৭ আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল(অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিএম, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক দুই আসামি হলেন আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই ও জঙ্গিনেতা মাওলানা মো. তাজউদ্দীন এবং হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ।

১৪ বছর আগে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে নৃশংস ওই গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। ঢাকার এক নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন বুধবার বেলা ১২টায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা আলোচিত দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তারা রায় পর্যালোচনা করবেন।

আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন বলেন, রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট না। ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে।


বিডি২৪লাইভ/আজ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: