ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘তিতলি’ কেন?
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। এজন্য সমুদ্র বন্দরের ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যায় আছড়ে পড়া নতুন এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘তিতলি’। কিন্তু কেন এবং কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের এই নামকরণ হলো তা জানেন কি?
সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা’র আঞ্চলিক কমিটি। সেই হিসেবে উত্তর ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় পূর্বাভাসের দায়িত্বে আছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা এবং ওমানের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার একটি প্যানেল হচ্ছে এস্কেপ।
২০০০ সালে এই প্যানেল প্রথম প্রস্তাব করে এ অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার জন্য। এ জন্য প্রতিটি দেশ থেকে ১০টি করে নাম জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একেকটি ঝড় বাস্তবে সৃষ্টি হলে, তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নাম নির্বাচন করা হয়। ঝড় যেহেতু মৃত্যু ও ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, তাই কোনো নাম পুনরাবৃত্তি করা হয় না।
গত কয়েকশো বছর ধরে আটলান্টিক মহাসাগর এলাকায় উৎপন্ন হওয়া ঝড়গুলোর নাম দিয়ে আসছে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের মানুষেরা। শুরুতে নিজেদের অঞ্চলের ঝড়গুলোকে বিভিন্ন নামে ডাকতো তারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি না বদলালেও ১৯৪৫ সাল থেকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে শুরু হয় ঝড়ের আনুষ্ঠানিক নামকরণ। বিভিন্ন দেশের প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল নামকরণ চূড়ান্ত করে থাকে। পূর্বাভাস দেওয়াতে সুবিধা এবং সাধারণ মানুষের কাছে পূর্বাভাস ও সতর্কতা বোধগম্য করতেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়ে থাকে।
বস্তুত ঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশের পাঠানো নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নামকরণ করা হয়। একেক অঞ্চলের ঝড়ের নাম চূড়ান্ত করার দায়িত্বটি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাতে ন্যস্ত থাকে। যেমন-উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঝড়গুলোর নামকরণের দায়িত্ব ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের। এক্ষেত্রে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আট দেশ বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড থেকে আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। প্রতিটি দেশের আটটি করে প্রস্তাবিত নাম নিয়ে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরে বৈঠকের মাধ্যমে মোট ৬৪টি নামের তালিকা তৈরি হয়। আর সে তালিকা অনুযায়ীই পর্যায়ক্রমে ঝড়ের নামকরণ হয়।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের সেই তালিকা অনুযায়ীই এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘তিতলি’। এই তালিকায় থাকা পরের নামটিকে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম হিসেবে ধরা হবে। ‘তিতলি’ নামটির প্রস্তাব এসেছে পাকিস্তানের কাছ থেকে। হিন্দি ভাষার শব্দ ‘তিতলি’ অর্থ ‘প্রজাপতি’। অর্থাৎ এবার পাকিস্তানের প্রস্তাবিত নামটিই ঝড়ের নাম হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ঝড়ের ক্ষেত্রে তালিকার পরের নামটি নেওয়া হবে। সেটি প্রস্তাব করেছে অন্য আরেকটি দেশ।
সেই তালিকা অনুযায়ীই এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘তিতলি’। ‘তিতলি’ নামটির প্রস্তাব এসেছে পাকিস্তানের কাছ থেকে। হিন্দি ভাষার শব্দ ‘তিতলি’ অর্থ ‘প্রজাপতি’। পরবর্তী ঝড়ের ক্ষেত্রে তালিকার পরের নামটি নেওয়া হবে। সেটি প্রস্তাব করেছে অন্য আরেকটি দেশ।
বিডি২৪লাইভ/আজ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: