পাঙ্গাস মাছ না খাওয়ার কারণ পাওয়া গেছে

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৪৯ পিএম

অনেকে আছেন যারা পাঙ্গাস মাছ খেতে চায় না। এর প্রধান কারণ মাছে থাকা হলুদ রং ও দুর্গন্ধ। এছাড়া একোয়াকালচার ভিত্তিক মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম স্থান অধিকার করলেও রপ্তানিতে তেমন সুবিধা করতে পারছে না। পাঙ্গাসের মাছের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে মাংসের হলুদ রং ও দুর্গন্ধ।

বাংলাদেশের রপ্তানি মুখী বাজার বিবেচনা করে বলা যায় রপ্তানি বাজারে পাঙ্গাসের অনুপস্থিতির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য কম থাকায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে বিপুল সম্ভাবনাময় এ মাছের উৎপাদন আজ হুমকির মুখে।

যেখানে ভিয়েতনামের মতো দেশ পাঙ্গাস রপ্তানির মাধ্যমে ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে তাদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) একোয়াকালচার বিভাগের আয়োজনে পাঙ্গাস মাছের দুর্গন্ধ এবং মাসেলের হলুদ রং এর কারণসমূহ শীর্ষক এক সেমিনারে রোববার (১৪ অক্টোবর) এসব কথা বলেন বক্তারা।

সেমিনার এর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিএইচডি গবেষক শেখ রাজিবুল ইসলাম। রাজিবুল বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক ও কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিল ও জি জরজেনসন এর তত্ত্বাবধানে গত ৩ বছর ধরে এ বিষয়ে গবেষণা করে আসছেন।

রাজিবুল জানান, মাছের দুর্গন্ধের জন্য মূলত পানির গুণগত মান এবং মাসেল হলুদ রঙের জন্য খাদ্যের উপকরণ দায়ী। খাবারের মধ্যে থাকা Zeaxanthin এবং Lutein নামক দুটি রাসায়নিক উপাদান মূলত হলদে রং এর জন্য দায়ী। খাদ্যে ব্যবহৃত ভুট্টা ও খৈল এ দুটি রাসায়নিকের প্রধান উৎস।

গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে খুব শিগগিরই গুণগত মান সমৃদ্ধ পাঙ্গাস মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে এবং বহির্বিশ্বে রপ্তানি পথও সুগম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: