সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন যারা

টেস্ট ক্রিকেট, ক্রিকেট খেলার দীর্ঘতর সংস্করণ যা টেস্ট ক্রিকেট বা টেস্ট ম্যাচ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া ক্রিকেট বোদ্ধাদের কাছে আসল ক্রিকেট বলে পরিচিত। সাধারণত একে কোন একটি দলের ক্রিকেট খেলার সক্ষমতা যাচাইয়ের প্রধান মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। পূর্বে ৬-দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতো। পরবর্তীতে তা পাঁচদিনে নিয়ে আসা হয় ও মাঝখানে একদিন বিশ্রাম রাখা হয়। বর্তমানে বিশ্রাম রাখা হয় না। প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ যাতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আজকের প্রতিবেদনে এমন কিছু খেলোয়াড়ের কথা তুলে ধরা হলো যারা সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন।

মোহাম্মদ আশরাফুল (বাংলাদেশ)

মোহাম্মদ আশরাফুল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। ২০০১ সাল। শ্রীলঙ্কার সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে চলছে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। টেস্ট অভিষেকেই আশরাফুল করে বসলেন অসাধারণ কীর্তি। মাত্র ১৭ বছর ৬১ দিন বয়সে ১১৪ রান করে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করলেন। সে ম্যাচে বাংলাদেশ ইনিংস ও ১৩৭ রানের ব্যবধানে পরাজিত হলেও আশরাফুল রয়ে গেছেন ইতিহাসের পাতায়। ব্যাটিংয়ে দক্ষতা ছাড়াও তিনি মাঝে মাঝে ডানহাতে লেগ স্পিন বল করে থাকেন।

মুস্তাক মোহাম্মদ (পাকিস্তান)

আশরাফুলের আগের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের মুস্তাক মোহাম্মদের দখলে। ১৯৬১ সালে নয়া দিল্লিতে ভারতের বিপক্ষে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৭৮ দিন।

শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)

১৯৯০ সালে ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৯ রানের ইনিংস খেলে সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়নের তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করেছেন ক্রিকেট বিশ্বে ‘বিস্ময় বালক’ হিসেবে পরিচিত শচীন টেন্ডুলকার। ম্যাচের শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম শতরান পেলেও খেলায় শেষ পর্যন্ত কোনো ফল আসেনি।

হ্যামিলটন মাসাকাদজা (জিম্বাবুয়ে)

২০০১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতক করেন জিম্বাবুয়ের মাসাকাদজা। ১১৯ রানের ইনিংস করার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৩৫২ দিন। এই ইনিংসের ফলে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে অভিষেকে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড করেন মাসাকাদজা। অবশ্য মাত্র দুই মাস পরেই আশরাফুল ভাঙেন সেই রেকর্ড।

ইমরান নাজির (পাকিস্তান)

২০০০ সালে ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করার সময় নাজিরের বয়স ছিল ১৮ বছর ১৫৪ দিন। তবে পরবর্তীতে পাকিস্তান দলে নিয়মিত জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হন তিনি। ১৯৯৯ সালে অভিষেকের পর থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত টেস্ট খেলেছেন মাত্র ৮টি।

শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)

১৯৯৯ সালে চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ১৪১ রানের ইনিংস খেলেন শহীদ আফ্রিদি। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর ৩৩৩ দিন। তবে ২০১০ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়ার আগে তিনি ম্যাচ খেলেন মাত্র ২৭টি, শতরানের ইনিংস খেলেছেন ৫টি। অবসরে যাওয়ার সময় আফ্রিদি বলেন, টেস্ট ক্রিকেট তিনি উপভোগ করেন না।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে