পরকীয়ার জেরে বউ-শাশুড়ির হাতে প্রবাসী খুন

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩৮ পিএম

পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় সাবেক স্ত্রী ও শাশুড়ির হাতে ফখরুল ইসলাম (২৮) নামে এক প্রবাসী খুন হয়েছেন। চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ফখরুল ইসলাম রাউজান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের গহিরা মোবারকখিল এলাকার হালদার খান চৌধুরী বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে।

এ বিষয়ে রাউজান থানার উপ-পরিদর্শক নূরনবী বলেন, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফখরুলের শাশুড়ি রাশেদা আকতারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে উম্মে হাবিবা মায়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের করার প্রস্তুতি নিয়েছিল ফখরুল। কিন্তু মায়ার বয়স কম থাকায় রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সে সময় তাদের বিয়ে ভেঙে দেন। পরে গোপনে ফখরুল ইসলাম মায়াকে বিয়ে করে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যান।

ফখরুল মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমালে উম্মে হাবিবা মায়া অন্য এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি করেন ফখরুল ইসলামের স্বজনরা। মায়ার পরকীয়ার সংবাদ পেয়ে প্রবাসী ফখরুল ইসলাম তাকে রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খানের সমঝোতায় তালাক দেন।

পরে উম্মে হাবিবার মোহরানার ধার্য করা টাকা পরিশোধ বাবদ ফখরুল ইসলাম উম্মে হাবিবাকে চেক প্রদান করেন। কিন্তু চেক থেকে টাকা উত্তোলন করতে না পেরে ফখরুল ইসলামকে হাবিবা ও তার মা ফুসলিয়ে গহিরা জনতা ব্যাংকের পাশে তাদের ভাড়াবাসায় নিয়ে পা বেঁধে গলা কেটে হত্যার প্রচেষ্টা চালায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক শীলব্রত বড়ুয়া।

শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ফখরুলের সাবেক স্ত্রী উম্মে হাবিবা মায়া ও তার মা রাশেদা আকতার রাউজান পৌর এলাকার ভাড়াবাসায় ফখরুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায়। তারা ফখরুলকে মৃত ভেবে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগিয়ে ফখরুল আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয়রা গুরুতর জখম ফখরুলকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। গত দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: