ভালবাসায় সিক্ত হলেন মুক্তিযোদ্ধা মারিনো রিগন

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৪৪ পিএম

কামরুজ্জামান জসিম মোংলা থেকে: মো জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজারও মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হলেন ভিনদেশী মুক্তিযোদ্ধা ফাদার মারিনো রিগন। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে মংলা উপজেলা পরিষদের মাঠে।

রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, ইটালিয়ান রাষ্ট্রদুত মারিও পালমা, জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম, প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ একে একে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযোদ্ধা ফাদার রিগনকে। 

&dquote;&dquote;

শনিবার সকাল ৯ টায় ফাদার রিগনের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার যোগে প্রথমে মোংলার শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে পৌছায়। এখানে জেলা প্রশাসন ও ক্যাথলিক মিশনের পক্ষ থেকে তার কফিন গ্রহণ করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মাঠ ও রিগনের প্রতিষ্ঠিত সেন্ট পল্স স্কুলে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেয়া হয় তার মরদেহের কফিন। 

শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী মারিনো রিগন মৃত্যুর এক বছর পর লাল-সবুজের জমিনেই ফিরেছেন। বিকেল ৩ টায় মারিনো রিগনকে শেহালাবুনিয়া ক্যাথলিক চার্চ চত্ত্বরে সমাহিত করা হয়। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও শিক্ষা বিস্তারে অনন্য অবদান রিগনের। 

&dquote;&dquote;

ইতালিয়ান নাগরিক হলেও এ দেশের মানুষের কাছে তার কতটুকু জনপ্রিয় তা প্রমাণ করলো শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢল। আর এ মানুষগুলো রিগন কথা দিয়েছিল অন্ততকাল এদেশের মাটিতে ঘুমাতে চান, কথা রেখেছেন মোংলার শেলাবুনিয়া ক্যাথলিক মিশনে ফিরে এসেছেন মারিনো রিগন।

&dquote;&dquote;

১৯২৫ সালে ৫ ফেব্রয়ারি ইতালির ভিচেঞ্জায় জন্মগ্রহণ করেন রিগান। মাত্র ২৮ বছর বয়সে খৃষ্ঠধর্ম প্রচারে ১৯৫৩ সালের ৭ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্থানে আসেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাঙালিদের পাশে দাড়ান। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা, আশ্রয়, সেবা দেয়ার পাশাপাশি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। রিগন মোংলা থাকা অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলাচলের শক্তি হারিয়ে ফেলেন ২০১৪ সালে। তার পর নেয়া হয় তার আপনজনদের কাছে ইতালিতে। গত ২০ আক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইটালিতেই মারা যান ফাদার মারিনো রিগন।  

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: