তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩৫ পিএম

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর দ্বীপজেলা ভোলার কোড়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা মৌলভী আজহার আলী এবং মা ফাতেমা বেগম।

১৯৬০ সালে ভোলা সরকারি হাই স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। এর পর বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯৬২ সালে আইএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে এমএসসি করেন।

ছাত্রজীবন থেকেই তোফায়েল আহমেদ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ডাকসুর ভিপি থাকাকালে চারটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রদত্ত ছয় দফাকে হুবহু ১১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৬৯ সালে তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’র সব রাজবন্দীকে নিঃশর্ত মুক্তিদানে তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সারা বাংলায় তৃণমূল পর্যন্ত তুমুল গণআন্দোলন গড়ে তোলেন এবং ৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান সহ সব রাজবন্দীকে মুক্তিদানে স্বৈরশাসককে বাধ্য করেন। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ১০ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে জাতির জনককে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন তিনি। 

১৯৭০ সালের ৭ জুন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ছাত্র জীবনেই তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সাহচর্যে আসেন। ১৯৭০ সালে ঐতিহাসিক নির্বাচনে ভোলার দৌলত খাঁ-তজুমদ্দিন-মনপুরা আসন থেকে মাত্র ২৭ বছর বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

তোফায়েল আহমেদ ছিলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘মুজিব বাহিনী’র অঞ্চল ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার অধিনায়কের অন্যতম একজন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তোফায়েল আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ ৩৩ মাস তিনি কারান্তরালে ছিলেন। ১৯৭৮ সালে কুষ্টিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।

১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এরমধ্যে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোলা-২ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। আর ২০১৪ সালে ভোলা-১ আসন থেকে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। 

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: