বিশ্বকাপ ২০১১, বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ ফিক্সিং ছিল?
আরও একটি বিশাল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিলো কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। দ্বিতীয়বারের মত ক্রিকেটে ফিক্সিংয়ের একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করলো তারা। যেখানে দাবি করা হয়েছে নামি-দামি অনেক তারকা ক্রিকেটার স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত।
২০১১-১২ ক্রিকেট মৌসুমে গড়াপেটা হয়েছে, এমন ১৫টি ম্যাচের তালিকা এ বার প্রকাশ করেছে চ্যানেলটি। যার মধ্যে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একাধিক ম্যাচ রয়েছে। আছে ২০১১ ঘরের মাঠের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলা ইংল্যান্ড বনাম বাংলাদেশের ম্যাচটি। যেখানে চমক দেখিয়ে ২ উইকেটের জয় পেয়েছিল টাইগাররা। এছাড়া রয়েছে বেশ কয়েকটি টেস্ট ম্যাচ।
২০১১ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের কঠিন ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করা ইংলিশদের ৪৯.৪ ওভারে ২২৫ রানে অলআউট করে টাইগাররা। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে দারুণ জয় তুলে নেয় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে স্বাগতিকরা।
২০১১ সালে ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার আয়োজনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পাঁচটি ম্যাচে ও ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচেও এই ধরনের সেশন ফিক্সিং বা স্পট ফিক্সিং হয়েছে বলে অভিযোগ। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বহু ক্রিকেটার এই গড়াপেটায় যুক্ত রয়েছেন।
স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি জড়িত ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। ২০১১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মোট ৭টি ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়েছেন ইংলিশরা। এরপরই রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নাম। অসি ক্রিকেটাররা স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়েছে ৫টি ম্যাচে। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা জড়িয়েছে ৩টি ম্যাচে এবং অন্য দেশের ক্রিকেটাররা স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়েছে একটি ম্যাচে।
ম্যাচ গড়াপেটা চক্রের অন্যতম সুনীল মুনাওয়ার ফোনে ও গোপন ক্যামেরার সামনে সরাসরি বলে দিয়েছেন, ২০১১-১২ মৌসুমে কোন কোন ম্যাচে গড়াপেটা হয়েছে। যা তার ফোনের কথাবার্তা রেকর্ড করে জানা গিয়েছে বলে দাবি ওই চ্যানেলের।
চ্যানেলটির দাবি, গড়াপেটার বাজিকররা ২৬টি ভবিষ্যদ্বানী করেছিল, তার মধ্যে ২৫টিই সঠিক ছিল। অভিযোগ, কয়েকটি ম্যাচে ৮-১০ ওভারের একাধিক সেশন গড়াপেটাও ছিল। এমনকি কয়েকটি ম্যাচে দুই দলের ক্রিকেটারদেরই গড়াপেটায় জড়িয়ে নেওয়া হয়।
আল জাজিরার দাবি, কোন ম্যাচে কোন সেশন গড়াপেটা হয়েছিল, তার বিস্তারিত তথ্যও নাকি তাদের কাছে আছে। কিন্তু সেগুলি তারা এখন প্রকাশ করবে না, পরবর্তীকালে সম্ভাব্য আইনি তদন্তের স্বার্থে।
এদিকে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ এই চ্যানেলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে। তাদের কাছে যা গোপন তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে, তা আইসিসিকে দিতে অনুরোধ করেছে।
তবে বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেনি চ্যানেলটি। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচে ইংলিশ কোন খেলোয়াড় জড়িত সেটিও প্রকাশ করা হয়নি ওই প্রতিবেদনে।
বিডি২৪লাইভ/আরআই
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: