অাগাম সবজি চাষে বগুড়ার কৃষকদের ভাগ্যবদল

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:২৭ পিএম

অাগাম শীতকালীন সবজি চাষ করে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে বগুড়ার সবজি চাষিদের মুখে। বাজারে নতুন শীতকালীন সবজির প্রচুর চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন তারা। শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠেছে বগুড়ার মাঠ।

বগুড়া জেলার সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলকপি, বাঁধা কপি, মুলা, সিম, ব্রকলী, গাজার, বরবটি টমাটো সহ বিভিন্ন সবজি চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মৌসুমের শেষ পর্যন্ত সবজির ফলন পাওয়া যাবে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বগুড়ায় সবজি আবাদ হয়ে থাকে প্রচুর। প্রতি শীত মৌসুমে যে পরিমান সবজি চাষ হয়ে থাকে তার অর্ধেক সবজিই বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। উত্তরের জেলার মধ্যে বগুড়া জেলায় সকল প্রকার সবজি চাষ হয়ে থাকে। জেলার সারিয়াকান্দি, শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ, শেরপুর, ধুনট, বগুড়া সদর, কাহালু, নন্দীগ্রামসহ ১২ উপজেলাতেই সবজি চাষ হয়ে থাকে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর বলছে, সবজিতে গত বছর লাভবান হওয়ায় এ বছর ২০০ হেক্টর বেশি জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।

&dquote;&dquote;

বগুড়ার বাজারে নতুন সবজি পাওয়া গেলেও দাম বেশি।  বগুড়ার সবচেয়ে বড় সবজির হাট মহাস্থানে  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে নতুন বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকা মণ, লাউ আকার আনুযায়ী ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস, ফুলকপি ২৪০০ টাকা মণ, বাঁধা কপি মণপ্রতি ২০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মুলা ৩০, বরবটি ৬০ টাকা কেজি ও ধনিয়া পাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রতুল চন্দ্র সরকার জানান, এবার বগুড়ায় ১২ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ২০০ হেক্টর বেশি। অনকুল আবহারওয়ার কারণে গত বছরের মত এবারও আশানুরুপ সবজি চাষ হবে। এখন কিছু কিছু সবজি বাজারে উঠেছে। আগাম জাতের নতুন সবজি বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, এবার বগুড়া জেলায় প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন সবজি ফলন হতে পারে। যদিও ফলন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে ভাল ফলন হতে পারে। আর এ কারণে ফলন বৃদ্ধি পাবে। জেলায় গত বছর প্রতি হেক্টরে শীতকালি সবজি উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ২২ টন।  

এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শীতকালিন সবজি কিছুটা বেশি হতে পারে এমনটাই আশা করছেন। জেলায় সবজি চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি উৎপাদন বাড়বে। তবে তাপমাত্রা ও বাতাশে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেলে সবজিতে পোকা দেখা দিতে পারে বলে জানালেন কৃষি কর্মকর্তারা।  

দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারনে কিছু কিছু জমিতে বিটল পোকা, পাতা খাতক, রস চোষা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। যাতে পোকার সংক্রমন না হয় সে জন্য উপজেলা  কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের মাঠে গিয়ে দিচ্ছেন  পরামর্শ। 
 
বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: