প্রবাসীদের আয় ১১ হাজার ৮৭৭ মিলিয়ন ডলার!

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:০২ পিএম

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি. এস সি বলেছেন, চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার ৮৭৭.৪২ মিলিয়য়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ।

সোমবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং প্রবাসীদের অর্থ দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মসৃজনের পাশাপাশি বেকারত্ব হ্রাস, দারিদ্র বিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। অভিবাসী কর্মীদের সেবা প্রদানের জন্য শ্রম উইং-এর সংখ্যা ও জনবলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। উতোমধ্যে শ্রম উইং এর সংখ্যা ১৬টি হতে ৩০টিতে উন্নীত করা হয়েছে এবং নতুন করে আরও ১১টি শ্রম উইংচালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৬৫টি দেশে বাংলাদেশের কর্মী যাচ্ছে। এরমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি গমন করে থাকে। ২০১৭ সালে দেশটিতে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ২২৩জন কর্মী দেশটিতে গমন করেছে।

পঞ্চগড়-১ আসনের নাজমুল হক প্রধানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকারি তত্ত্বাবধানে অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে বেসরকারিভাবে মালোয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হয়। ২০১৬ সালে সরকার অধিকহারে কর্মী প্রেরণের জন্য বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্টকে অন্তর্ভূক্ত করে মালয়েশিয়ার সাথে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এ প্রকিয়ায় সারাদেশ থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৭ জন কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রেরণকৃত কর্মী সরকারের তত্ত্বাবধানে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে গমন করেছেন। ইতোপূর্বে সফল শ্রম কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায়য দুই লাখ ৬৭ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকের বৈধতা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে যে সকল কর্মী অবৈধ হয়ে পড়েছে তাদের বৈধকরণের বিষয়ে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এআই/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: