হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিল পাস

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩৬ পিএম

‘হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন-২০১৮’ বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। সোমবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ‘বর্তমানে হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অর্ডিন্যান্স-১৯৭৭’ অনুযায়ী হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সামরিক সরকারের অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত ও বাংলায় প্রণয়ণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ৩০ বছর আগের এই অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করা উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইনের তিন ধারায় অর্ডিন্যান্সের অধীনে থাকা হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ধারাবাহিকতা রাখা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যাস্ত থাকবে। ছয় নাম্বার ধারায় ‘ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী ’ অংশে ইমারত নকশ প্রণয়ন ও নির্মাণ, নির্মাণ উপকরণ-শিল্প এবং মানব বসতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার উপর কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেই সঙ্গে দেশজ নির্মাণ উপকরণের প্রাপ্যতা, উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব নির্মাণ উপকরণের উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনা করবে ইনস্টিটিউট।

এছাড়া দুর্যোগ সহনীয়, আধুনিক কৌশল, টেকসই নতুন উপকরণ এসব বিষয়ে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করবে রিসার্চ ইনস্টিটিউট। প্রস্তাবিত আইনের সাত ধারা অনুযায়ী একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। পর্ষদে ২১ জন সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে গৃহায়ণমন্ত্রী পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং সচিব পদাধিকার বলে ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। তবে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী থাকলে তিনিই ভাইস চেয়ারম্যান হবে এবং সচিব সদস্য হিসেবে থাকবেন।

প্রস্তাবিত আইনের ১২ ধারায় হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একজন মহাপরিচালকের পদ রয়েছে। সরকার গৃহায়ণ ও ইমারত নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যাক্তিগণের মধ্য থেকে নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে মহাপরিচালক নিয়োগ দেবে। ১৭ ধারায় ইনস্টিটিউটের তহবিলের বিষয় বলা হয়েছে, সরকার, ব্যাক্তি, সংস্থা বা স্থানীয় কোনো কর্তৃপক্ষ তহবিলে অর্থ দিতে পারবন। তবে, বিদেশী সংস্থার কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন-২০১৮’ প্রণীত ও বাস্তবায়িত হলে পরিবেশবান্ধব, দুর্যোগ সহনীয়, ব্যয় সাশ্রয়ী ও ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সকলের জন্য আবাসন সহজলভ্য করার স্বার্থে সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, গবেষণা ও পরীক্ষার মাধ্যমে গৃহায়ন ও নির্মাণ ক্ষেত্রে যুগোপযোগী জ্ঞান আহরণ, দেশীয় নির্মাণ উপকরণের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং পরিবেশ বান্ধব দুর্যোগ সহনীয় সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৩ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন গণপূর্ত ও নগর উন্নয়ণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ সেন্টার প্রকল্প’ অনুমোদন করেন। 

মন্ত্রী জানান, পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের ব্যপ্তি বিবেচনা করে ১৬ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে ‘হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৭’ জারি করা হয়। সম্প্রতি মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তর আলোকে অধ্যাদেশটি সংশোধন ও পরিমার্জন করে নতুন আইন আকারে বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিলটি রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর আইনে পরিণত হবে।

বিডি২৪লাইভ/এআই/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: