‘মানুষ পুড়িয়ে কোন আন্দোলন হোক, আর চাই না’

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৫৫ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে কোনো আন্দোলন হোক, আর চাই না। অতীতে জনগণ তাদের প্রতিরোধ করেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিরোধ করেছে। ভবিষ্যতেও সরকার যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেবে। কেউ যেন ভবিষ্যতে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে না পারে।’

বুধবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর নীমতলিতে দুপুরে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকাতে হাজার হাজার মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। নির্বাচন বন্ধের নামে বিএনপি-জামায়াত ৫৩২টি স্কুল পুড়িয়ে দেয়। তাদের জ্বালাও-পোড়াওয়ে মারা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমপক্ষে ২৮-২৯ জন সদস্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের চলার জন্য নতুন এক হাজার বাস দিয়েছিলাম, তাও পুড়িয়ে ফেলেছে বিএনপি- জামায়াত। আগুন দিয়ে রেল পুড়িয়েছে, লঞ্চ পুড়িয়েছে, ৫৮২টি স্কুল পুড়িয়েছে। এখনো সেই পোড়া ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে মানুষ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গড়ে তুলি, বিএনপি-জামায়াত ধ্বংস করে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে সেসময় পোড়া মানুষগুলোকে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। আগুনে পুড়ে ৫০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। যারা গাড়ি-ব্যবসা হারিয়েছে, তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করেছি। আহতদের অনেককে বিদেশ থেকেও চিকিৎসা করিয়ে এনেছি।’

ভবিষ্যতে প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে এই বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। এখান থেকে বিশ্বমানের চিকিৎসা দেওয়া হবে। এছাড়া ভবিষ্যতেও প্রতিটি জেলা হাসপাতালে বার্ন ইউনিট গড়ে তোলা হবে।

জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের সুযোগ দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা উন্নয়ন করছি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়েছি। আগামীতেও তারা যদি নৌকায় ভোট দিয়ে কাজের সুযোগ দেন, যে উন্নয়ন কাজ আমরা শুরু করেছি, সেসব সম্পন্ন করতে পারবো। ২০২০ সালের মধ্যে আমরা গড়ে তুলবো ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) সংলগ্ন চাঁনখারপুল এলাকায় গিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৮ তলাবিশিষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করা এ হাসপাতালটির উদ্বোধনের ফলে আগুনে পোড়াসহ বিভিন্নভাবে দগ্ধদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেশে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। বিশ্বের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ উন্নততর চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে এই বার্ন ইনস্টিটিউটে।

৫০০ শয্যা বিশিষ্ট এই বার্ন ইনস্টিটিউটে ৫০টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং ১২টি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ ইনস্টিটিউট নির্মাণের অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এরপর ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এর নির্মাণ কাজ শুরু করে। দুই একর জমির ওপর ৯১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: