হাসপাতালে ১৮ জনের খাবার পাবেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা বাংলাদেশি
কক্সবাজারের জিন্নাত আলী। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে না থাকলেও তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৮২ সালে জন্ম নেওয়া কশেনের উচ্চতা ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ২০০৯ সালে তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা ব্যক্তির স্বীকৃতি দেয়। আর জিন্নাত সেই কশেনের চেয়েও তিন ইঞ্চি লম্বা। জিন্নাত আলীর উচ্চতা ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি।
বর্গা চাষি আমির হামজার ছেলে জিন্নাত বুধবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রীকে বলেন নিজের সমস্যার কথা। কক্সবাজার-৩ আসনের সরকার দলীয় এমপি সাইমুর সরওয়ার কমল তাকে এ সু্যোগ করে দেন। প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। সে অনুযায়ী বিএসএমএমইউতে তার সম্পূর্ণ ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জিন্নাতের বিষয়ে কথা হয় তার বড় তাই ইলিয়াসের সঙ্গে। তিনি জানান, জিন্নাতের চিকিৎসার জন্য টাকা দেওয়াটা আমার স্ত্রী সহ্য করতে পারতো না। সে বাড়ি থেকে চলে গেছে, এতে কোনো দুঃখ পাইনি আমি। এরপরও আমার সাধ্যমতো ভাইয়ের চিকিৎসা করিয়েছি। এলাকার মানুষ আমাকে সাহায্য করেছে।
তিনি আরও জানান, জিন্নাতের চিকিৎসার জন্য এখন টাকা দেওয়া আমাদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করি এবং তিনি আমাদের ভাইয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। এর আগে গত ২ বছর ধরে আমাদেরকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন এমপি সাইমুর সরওয়ার কমল।
তার সহযোগিতায় আমরা ঢাকায় হাসপাতালে এসেছি। তিনি সকলের কাছে তার ভাইয়ের জন্য দোয়া চান।
এক প্রশ্নের উত্তরে ইলিয়াছ বিশেষজ্ঞ চিকৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, হরমোন ও থাইরয়েডের সমস্যার কারণে জিন্নাত অস্বাভাবিকভাবে লম্বা হয়ে গেছে। তার মা শাহপুরী বেগম। তারা তিন ভাই, এক বোন। ভাই-বোনদের মধ্যে জিন্নাত তৃতীয়। অভাবের সংসারে একমাত্র কর্মক্ষম তার ভাই ইলিয়াস। আর ১৪ বছর থেকে জিন্নাতের শরীর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে কাজ করা হয়ে উঠেনি তার।
কথা হয় জিন্নাত আলীর সাথেও। তিনি বলেন আমি আতপ চালের ভাত খাই, যেটা এখানে নেই। তাছাড়া এখানে রান্নার মানও ভালো না।
তবে পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ার কথা শুনে হাসি দেখা গেলো তার মুখে। সঙ্গে গিনেস বুকে তার নাম ওঠানোর চেয়ে নিজের সুস্থতাই বেশি জরুরি বলে মনে করেন জিন্নাত।
জানা যায়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিন্নাতকে যে খাবার দেওয়া হয়, তার কাছে সেটি খুবই কম। তার ক্ষুধা দেখে বিএসএমএমইউ’র ডি-ব্লকের অন্যান্য রোগীরাও এগিয়ে আসেন। চার-পাঁচ জন মিলে হাসপাতাল থেকে দেওয়া নিজেদের খাবার দিয়ে দেন জিন্নাতকে।
হাসপাতাল পরিচালক বিষয়টি জানার পরই তার খাবারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেন। যদিও এ বিষয়ে কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
তবে খাবার পরিবেশন বিভাগে কর্মরত পলাশ বলেন, পরিচালক স্যার আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন জিন্নাতের পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করতে। এ নির্দেশে এখন থেকে প্রতি বেলায় ছয় জনের খাবার দেওয়া হবে তাকে। যা প্রতিদিন ১৮ জনের সমান। একইসঙ্গে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি।
বিডি২৪লাইভ/এইচকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: